News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক  || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:৪৬, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

৩১ ডিসেম্বর ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ ঘোষণা 

৩১ ডিসেম্বর ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ ঘোষণা 

ছবি: সংগৃহীত

হঠাৎ করেই শনিবার সন্ধ্যা থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের অনেকেই পোস্ট দেন। তাতে জানা যায় ৩১ ডিসেম্বর বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঘোষণা করা হবে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’। 

ছাত্র জনতার উপস্থিতিতে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের প্রাতিষ্ঠানিক ও দালিলিক স্বীকৃতির দাবিতে সেই দিন জাতীয় শহিদ মিনার থেকে প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভুলেশন ঘোষণা আসবে।   

অন্যতম সমন্বয়ক এবং জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ৩১ ডিসেম্বরের ঘোষণাপত্রটি লিখিত দলিল হিসেবে থাকবে। 

রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

সারজিস বলেন, ৩১ তারিখ যে ঘোষণাপত্র পাঠ হবে তা শহীদ পরিবারের স্বপ্ন হিসেবে থাকবে। বিগত যে সিস্টেমগুলো মানুষ আসলে তাদের জায়গা থেকে গ্রহণ করেনি এবং আগামীতে যেই সিস্টেমগুলো মানুষ চাচ্ছে না সেগুলো স্পষ্ট করা হবে।

তিনি বলেন, ২৪ এর বিপ্লব কি হয়েছে কোন বিষয়টির প্রেক্ষাপটে এই ২৪ এর বিপ্লবের পরবর্তী কেমন হওয়া উচিত সেই প্রেক্ষাপটে একটি আকাঙ্ক্ষার যাত্রা হবে। তাঁর আলোকেই হবে আগামীর বাংলাদেশের ঘোষণাপত্র।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আরও অনেকে।

সেই দিন শহীদের পরিবার ও আহতরা তাদের আকাঙ্ক্ষার কথা বলবেন। একই সঙ্গে শহিদ মিনারে সমবেত হবেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সকল শক্তি। আগামী নির্বাচন, রাষ্ট্রসংস্কার ও জুলাই বিপ্লবে গণহত্যাকারীদের বিচার সহ নতুন প্রজন্মের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফল নিয়েই এই ঘোষণা পত্র বলে জানানো হয়।

এ সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ৫ আগস্ট না হওয়ার কারণে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে ফ্যাসিস্টরা। এটি গণ-অভ্যুত্থানের লেজিটিমেসিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। 
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, গণ-অভ্যুত্থানকে ঘিরে মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়েছে এবং ’৭২-এর সংবিধান যে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, তার একটি দালিলিক প্রমাণ হিসেবে ৩১ ডিসেম্বর জাতির সামনে মুজিববাদী ’৭২-এর সংবিধানের কবর রচিত হবে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানুষের আকাঙ্ক্ষা ঘোষণার ৩১ ডিসেম্বর মানুষ শহীদ মিনারে জড়ো হবে।

এর আগে গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পরপর একই ধরনের দুটি পোস্ট দেয়া হয়। 

প্রথম পোস্টে লেখা হয়, ‘৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, বিপ্লবীরা প্রস্তুত তো?’ 

পরের পোস্টে ইংরেজিতে লেখা হয়, ‘প্রক্লেমেশন অব জুলাই রেভল্যুশন’।

কাছাকাছি সময়ে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে পরপর ইংরেজিতে দুটি পোস্ট দেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। 

প্রথমটিতে লেখা হয়, ‘কমরেডস, নাউ অর নেভার’। 

দ্বিতীয়টিতে লেখা হয়, ‘প্রক্লেমেশন অব জুলাই রেভল্যুশন’।

পরে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীও ফেসবুকে ইংরেজিতে দুটি পোস্ট দেন। 
প্রথমটিতে তিনি লিখেন, ‘অল আইজ অন শহীদ মিনার, ৩১ ডিসেম্বর, সময়: বিকেল তিনটা’, 
দ্বিতীয়টিতে বলা হয়, ‘প্রক্লেমেশন অব জুলাই রেভল্যুশন, নাউ অর নেভার’। 

সংগঠনটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এ বছরেই হবে, ৩১ ডিসেম্বর, ইনশা আল্লাহ!’ 

মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম লেখেন, ‘৩১ ডিসেম্বর! শহীদ মিনার, বিকেল তিনটা; এখনই সময়, বাংলাদেশের জন্য।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহও তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এ প্রসঙ্গে দুটি পোস্ট দিয়েছেন। 

প্রথমটিতে তিনি লেখেন, ‘কমরেডস, ৩১ ডিসেম্বর! নাউ অর নেভার।’ 

দ্বিতীয় পোস্টে লেখা হয়, ‘প্রক্লেমেশন অব জুলাই রেভল্যুশন, ৩১ ডিসেম্বর, শহীদ মিনার, বিকেল তিনটা।’ 

সংগঠনটির সদস্যসচিব আরিফ সোহেল লেখেন, ‘জুলাই হাজির হবে ইতিহাসে অমলিন হতে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪।’

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়