যাচাই হবে সরকারি চাকরি পাওয়া ২৩ হাজার জনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের টানা ১৬ বছরের শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধা সনদে সরকারি চাকরি পাওয়া ২৩ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী যাচাই-বাছাই হবে বলে জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
১৪ ডিসেম্বর থেকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে, তাদের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে সরকার।
ইতিহাসবিদরা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছরের শাসনামলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গুরুত্ব দেওয়া হলেও, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হয়নি। এমনকি শহীদদের প্রকৃত তালিকা হয়নি।
জানা গেছে, শেখ হাসিনার টানা ৩ মেয়াদে প্রায় ১৮ হাজার ব্যক্তির নামে মুক্তিযোদ্ধার গেজেট জারি করে মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ৮ হাজার ভুয়া সনদধারী চিহ্নিত হয়। এই তালিকায় আরও অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদধারী আছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে আসছেন অভিযোগ জানাতে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে অভিযোগ দিতে এসেছেন খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলার সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় ৩৬ জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকা এই অফিসে দেওয়া ছিল। এটি নিয়ে এর আগে কেউ কোনো প্রতিকার পায়নি। ৫ তারিখের (৫ আগস্ট) পরে আমি নিজে এসে এইখানে অভিযোগ জমা দিয়েছি।
মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, গত ১৬ বছরে টাকার বিনিময়ে অনেকেই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছেন। যে কারণে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের পড়তে হচ্ছে বিব্রতকর অবস্থায়।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সাবেক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুছ সাত্তার বলেন, ১৫ বছর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছুই করে নাই। প্যাকেজ আকারে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিতে দেখেছি।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী বলেন, বিজয় মেলা হবে। সেখানে সমস্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। তখন তারা আসবেন এবং আমরা যে তালিকা করব সেটি দেখাব। সেই তালিকা দেখে যদি তাদের কাউকে মুক্তিযোদ্ধা মনে না হয় তাহলে তারা ইউএনও বা আমাদের কাছে সরাসরি জানাবেন।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ১৬ বছরে মুক্তিযোদ্ধা সনদে ২৩ হাজার নিয়োগ হয়েছে। এদের সনদ যাচাই-বাছাই করা হবে। এরই মধ্যে অর্ধশতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে মন্ত্রণালয়ে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি