News Bangladesh

কক্সবাজার সংবাদদাতা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২০:১৮, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমার সংঘাতের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে যাত্রীবাহী ট্রলার, স্পিডবোট ও মাছ ধরার ট্রলার চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।  

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন নৌযান চলাচলের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে মাইকিং করে।

এদিকে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা দাবি করেন, টেকনাফ সেন্টমার্টিন রুটে সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধের কারণে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সংকটে পড়েছে বলে অভিযোগ তুলেন। দ্বীপবাসীর দাবি, এ সমস্যা দ্রুত সমাধান না হলে অবস্থা খুব সংকটাপন্ন হবে। আর বিকল্প পথে যাত্রী ও পণ্য পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের বোট মালিক সভাপতি আবদুর রশিদ বলেন, মিয়ানমার সংঘাতের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে যাত্রীবাহী ট্রলার, স্পিডবোট ও মাছ ধরার ট্রলার চলাচল বন্ধ রাখতে নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের নির্দেশ দিয়েছে। আমরা বন্ধ রেখেছি। এখন পর্যটন মৌসুম।সেখানে সরকার নির্ধারিত ২হাজার পর্যটক যায়। তার মধ্যে দ্বীপের ১০হাজার বাসিন্দা। বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হওয়ায় বাসিন্দাদের খাদ্য ও নিত্যপণ্য আসে টেকনাফ থেকে। আর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌরুট।  

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে প্রতিদিনই দ্বীপের বাসিন্দারা আসা-যাওয়া করে ট্রলারে। একই সঙ্গে খাদ্য পণ্য পরিবহনেও ব্যবহৃত হয় ট্রলার। এটি দ্রুত সমাধান না করলে দ্বীপে দ্রুত খাদ্য সংকট দেখা দিবে। 

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা বলেন, টেকনাফসেন্টমার্টিন নৌ যোগাযোগ বিছিন্ন। খাদ্য সংকটের দিকে যাচ্ছে।বিকল্প পথে খাদ্য পণ্য পরিবহন সুযোগ করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। সেন্টমার্টিন হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আব্দু রহিম জিহাদী বলেন, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে বসবাস করে ১০ হাজারের বেশি বাসিন্দা। তার মধ্যে প্রতিদিন ২ হাজাহার পর্যটক আসে। সব খাদ্যপণ্য টেকনাফ থেকে আসে। মায়ানমারের সংঘাতের কারণে টেকনাফ থেকে সব ধরনের যোগাযোগ বিছিন্ন। এটি সমাধান করার জন্য প্রশাসনের সহোযোগিতা চাই আমরা।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দীন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন এলাকা দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। এতে এইপারের ঝুঁকি বেড়েছে। যার কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে যাত্রীবাহী ট্রলার, স্পিডবোট ও মাছ ধরার ট্রলার চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিকল্প পথে খাদ্য পণ্য নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়