ফেরিতে গাদাগাদি করে পারাপার হচ্ছে যাত্রীরা
ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ পড়েছে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি ও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। ফেরিগুলোতে গাদাগাদি করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পারাপার হচ্ছে যাত্রীরা।
বুধবার সকাল পৌনে ১০টায় এ দৃশ্য দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বুধবার ভোর থেকে এ নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান, মোটরসাইকেল ও ভাড়াচালিত ব্যক্তিগত গাড়ি আছে। তবে, বাস চলাচল না করার কারণে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাউকে এ বিষয়ে তদারকি করতে দেখা যায়নি বলেও জানিয়েছেন তারা।
কোনো যাত্রী এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে কোনো অটোরিকশা তাকে নিচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মাহবুব রহমান বলেন, “ঈদ শেষে হাজারো যাত্রী কর্মস্থলে ফিরছেন। ফেরিগুলোতে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভীষণ চাপ আছে। বুধবার ভোর থেকে কয়েকটি ফেরিতে শুধু যাত্রীই পার করা হয়েছে।”
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতেও যাত্রীরা যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকার কারণে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছে।”
“যাত্রীদেরকে মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বলা হলেও তারা মানছেন না,” যোগ করেন তিনি।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মো. হিলাল উদ্দিন বলেন, “যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
তিনি জানিয়েছেন, ঘাট এলাকায় পারের অপেক্ষায় ৫০টির মতো গাড়ি আছে। অ্যাম্বুলেন্স ও মরদেহবাহী গাড়িগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফেরিতে আগে দেয়া হচ্ছে।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ