১১৯০১ কোটি টাকা ব্যয়ে একনেকে ১০ প্রকল্প অনুমোদন
১১ হাজার ৯০১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। তার মধ্যে সরকার রাজস্ব থেকে দেবে ৮ হাজার ৯৯১ কোটি ৪৪ লাখ, বিদেশ থেকে ঋণ নেবে ৯৯ কোটি ৯১ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৮০৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান, আজকে একনেকে অনুমোদিত হয়েছে ১০টি প্রকল্প। এর মধ্যে একটি সংশোধিত এবং নয়টি নতুন প্রকল্প। সংশোধিত প্রকল্পটি হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন। সংশোধনীতে প্রকল্পের মেয়াদ ও খরচ দুই বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রথম সংশোধনীতে ১৯৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয় বাড়িয়ে করা হয়েছে ১ হাজার ৫৬১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আর ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। সংশোধনীতে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়।
নতুন প্রকল্পগুলো হলো ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন (প্রথম পর্যায়) প্রকল্পে ৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সাইনবোর্ড-মোড়েলগঞ্জ-রায়েন্দা-শরণখোলা-বগী সড়কের (আর-৭৭৩) ১৭তম কিলোমিটারে পানগুচি নদীর উপর পানগুচি সেতু নির্মাণ প্রকল্পে ৯১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পে ১ হাজার ৬৪৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, সংষ্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ৫২৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা, স্থানীয় সরকার বিভাগের রাঙ্গামাটি জেলার কারিগর পাড়া হতে বিলাইছড়ি পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন ও ব্রিজ/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পে ৩৩৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, স্থানীয় সরকার বিভাগের কুমিল্লা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পে ১ হাজার ১৫৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পে ১ হাজার ৪৫২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, বিদ্যুৎ বিভাগের বাপবিবোর বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন (খুলনা বিভাগ) প্রকল্পে ৩ হাজার ৭৬ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/এনডি