গণমাধ্যমের দায়িত্ব হচ্ছে সমাজের চিত্র তুলে ধরা: হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের সম্মিলিত দায়বদ্ধতা আছে। গণমাধ্যমের সে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। গণমাধ্যমের দায়িত্ব হচ্ছে সমাজের চিত্র তুলে ধরা।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের গণমাধ্যমের ওপর আস্থা আছে। সাম্প্রতিক সময়ের বেশকিছু ঘটনা গণমাধ্যমে যেভাবে আসার কথা ছিল সেভাবে আসেনি বিধায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চাপ প্রয়োগ করা হয়নি।
তিনি বলেন, কোনো সমাজই এগিয়ে যায় না সেই সমাজে যদি আশা না থাকে। শত প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, রাষ্ট্র এগিয়ে যাচ্ছে, জাতি এগিয়ে গেছে। করোনা মহামারির মধ্যেও থমকে দাঁড়ায়নি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে একটি উদাহরণ। উন্নয়নশীল অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীন। বাংলাদেশে কোনো অসত্য সংবাদ প্রকাশের দায়ে কিন্তু জরিমানা করা হয় না।
তিনি বলেন, মুক্ত গণমাধ্যম বহুমাত্রিক সমাজের অন্যতম পূর্বশর্ত। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিকাশ ছাড়া গণতান্ত্রিক সমাজের বিকাশ সম্ভব না। যারা স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছে এখনো তারা গণমাধ্যমের ওপর ভরসা করেই স্বপ্ন দেখে।
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সভাপতি, অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও গীতিকবি মিজান মালিকের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘মন খারাপের পোস্টার’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মিজান মালিকের কবিতা উদ্ধৃত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের মধ্যে কল্পনা না থাকলে মানুষ আর মানুষ থাকে না। বাস্তবতার সঙ্গে কল্পনার সংমিশ্রণে সাহিত্য তৈরি হয়। লেখক এখানে মানুষের পাশে রয়েছেন তার লেখনী দিয়ে, কল্পনা দিয়ে। তাকে স্বপ্ন দেখতে সহায়তা করেন।
কিন্তু স্বভাবত মানুষ কী করছে? নিরন্তর ছুটে চলেছে। মানুষ যেন আত্মকেন্দ্রিক, ভুভুখ হয়ে যাচ্ছে। আরও চায়। আরও চায়। এদের জন্যই এই করোনা এসেছে।
মুক্ত গণমাধ্যম দিবস নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে আগে ডিজিটাল প্রচারণা ছিল না। তখন সেগুলোর নিরাপত্তায় আইনের প্রয়োজন ছিল না। এখন ডিজিটাল সিস্টেম চলে আসায় এগুলোর নিরাপত্তায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হয়েছে। পৃথিবীর প্রায় সব উন্নত দেশে এ আইন রয়েছে। দেশের সব মানুষের নিরাপত্তার জন্যই এই আইন। এ আইনের অপপ্রয়োগ প্রথম অবস্থায় শুরু হয়েছিল। সেগুলো প্রশাসনিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। মত-প্রকাশের স্বাধীনতা যেমন থাকতে হয় একইসঙ্গে আমার মত-প্রকাশের স্বাধীনতা অন্য কেউ যেন হরণ না করে, চরিত্র হরণ না করে সেজন্য এই ডিজিটাল আইন করা হয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি নিজেও কবিতার পাঠক।ছোটবেলায় কবিতা লিখেছি। কবিতা মানুষের মনকে প্রশান্ত করে।করোনাকালে সাংবাদিক মিজান মালিকের লেখা দারুণভাবে আলোড়িত করে। কবিতার প্রতি আমার এক ধরনের মায়া আছে। সাংবাদিক মিজান মালিকের কবিতায় ভিন্নতা রয়েছে।জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘কবিতা আর দেবতা সুন্দরের প্রতীক।যা কিছু সুন্দর তা কেবল সুন্দর দিয়েই প্রকাশ করতে হয়।’ মিজান মালিকের কবিতাও সুন্দরের প্রকাশ।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি