News Bangladesh

জেলা সংবাদদাতা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৯:২৬, ১ মে ২০২১
আপডেট: ১৯:২৬, ১ মে ২০২১

চাকরি পেলেন ৪৩ ভিক্ষুক

চাকরি পেলেন ৪৩ ভিক্ষুক

গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় চাকরি পেলেন ৪৩ ভিক্ষুক। তারা উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের চৌরখুলী গ্রামে নির্মিত প্যাকেজিং ফ্যাক্টরিতে কাজ করবেন।

শনিবার (১ মে) জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা প্রধান অতিথি থেকে তাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। এর আগে তিনি ফিতা কেটে অবলম্বন নামে এ ফ্যাক্টরির উদ্বোধন করেন।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মাহফুজুর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মহসীন উদ্দিন, পৌর মেয়র হাজি মো. কামাল হোসেন শেখ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, কুশলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বাদল, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান শুভ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শ্রীময়ী বাগচী উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, গত ডিসেম্বর থেকে কোটালিপাড়া উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের চৌরখুলী গ্রামে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ প্যাকেজিং ফ্যাক্টরির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চলতি মাসের শুরুতে ফ্যাক্টরির নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

কুশলা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বাদল জানান, ‘কুশলা ইউনিয়নের চৌরখুলী গ্রামের ৪৩ নারী-পুরুষ জন্ম-জন্মান্তর থেকে ভিক্ষাবৃত্তি পেশায় জড়িত।বিভিন্ন সময়ে এ পেশা থেকে উত্তরণের উদ্যোগ নেয়া হলেও কখনই তাদেরকে নিবৃত করা যায়নি। তাদের কর্মসংস্থানের জন্য সরকারি অর্থায়নে ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে চৌরখুলী গ্রামে এ প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি নির্মাণ করা হয়।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘কোটালিপাড়ায় প্যাকেজিং ফ্যাক্টরিতে উৎপাদিত কাগজের প্যাকেটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ কারণে সরকারি অর্থায়নে সাত লাখ টাকা ব্যয়ে এ ফ্যাক্টরির নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে যারা কাজ করবেন তাদেরকে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, এখানে যে ৪৩ ভিক্ষুক কাজ করবেন তাদের প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে বেতন দেয়া হবে। এছাড়াও ফ্যাক্টরিতে উৎপাদিত কাগজ বিক্রির লভ্যাংশের একটি অংশ তারা পাবেন। ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের এ উদ্যোগ সফল হলে পরিবর্তন হবে চৌরখুলীর, পরিবর্তন হবে কোটালিপাড়ার। এভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিবর্তনের মধ্যে দিয়েই আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হব।

চৌরখুলী গ্রামের ভিক্ষুক কোহিনুর বেগম বলেন, ‘আমরা আর ভিক্ষা করতে চাই না। কাজ করে খেতে চাই। এতদিন কোনো কাজ পাইনি, তাই ভিক্ষা করছি। এখন উপজেলা প্রশাসন ফ্যাক্টরি নির্মাণ করে আমাদের চাকরি দিয়েছে। আমরা এখন চাকরি করে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারব।’

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, ‘ভিক্ষা নয়, কর্মময় হবে ৪৩ ভিক্ষুকের জীবন। এরা এখন কাজ করে সংসার চালাতে পারবে। এ ধরনের উদ্যোগ দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে।’

নিউজবাংলাদেশ.কম/ডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়