ভারতের পরিস্থিতির প্রভাবের আশঙ্কা, সার্বিক প্রস্তুতির পরামর্শ
দেশের সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও ভারতের কারণে পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কার কথা তুলে ধরে বিশেষ করে ‘অক্সিজেন সঙ্কট’ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ সরকারকে সার্বিক প্রস্তুতিও নেয়ার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
বুধবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও ভারতে সংক্রমণের কারণে বাংলাদেশের অবস্থা পরিবর্তিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য সার্বিক প্রস্তুতি, বিশেষ করে অক্সিজেন সঙ্কট রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখতে হবে। সরকারের এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা দ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কিটের দাম আগে দুই হাজার ৭০০ টাকা থেকে তিন হাজার টাকা ছিল। এখন তা কমে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বেসরকারি পর্যায়ে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে মূল্য পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া দরকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ বিষয়ে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে। একই সঙ্গে বেসরকারি পর্যায়ে টেস্টের মূল্য ১৫শ টাকা থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে নির্ধারণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সরকারি হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার ফি ১০০ টাকা, বাসায় গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করতে হলে ৩০০ টাকা দিতে হয়। বেসরকারিভাবে নমুনা পরীক্ষার ফি তিন হাজার টাকা। বিদেশগামী শ্রমিকদের নমুনা পরীক্ষার ফি ৩০০ টাকা।
এর আগে গত জানুয়ারিতে সরকারিভাবে পরীক্ষা বিনামূল্যে করার সুপারিশ করেছিল কমিটি।
সভায় দেশের সার্বিক করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সংক্রমণের অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন চিহ্নিত হয়েছে। সেটা বাংলাদেশে ছড়ালে পরিস্থিতি সঙ্কটময় হতে পারে। তাই ভারত থেকে আসা সব যাত্রীর ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে বলেছে জাতীয় কমিটি।
“সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে নজরদারি জোরদার করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো শৈথিল্য কাম্য নয়। ভারত থেকে আগত ১০ জন সংক্রমিত ব্যক্তি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়। উক্ত চলাচলের সময় এরা যাদের সংস্পর্শে এসেছে তাদের চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইন করতে হবে।”
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ