News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৩:৩৯, ১৯ এপ্রিল ২০২১

বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার ডোজ রেমডেসিভির কিনতে চায় ঝাড়খণ্ড

বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার ডোজ রেমডেসিভির কিনতে চায় ঝাড়খণ্ড

করোনা মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার ডোজ রেমডেসিভির আমদানি করতে চায় ঝাড়খণ্ড। এজন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছেন ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন।

সোমবার টুইটার বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বলেন, “ঝাড়খণ্ডে আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা রোগীদের জন্য রেমডেসিভিরের চাহিদা বেড়ে গেছে এবং এটি পাওয়া যাচ্ছে না বলে আমরা জরুরি ব্যবহারের জন্যে ৫০ হাজার শিশি কিনতে বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। যত দ্রুত সম্ভব আমদানির অনুমতি দেয়ার জন্যে আমি (কেন্দ্রীয় মন্ত্রী) ডিভি সদানন্দ গৌড়ের কাছে চিঠি লিখেছি।”

মন্ত্রী ডিভি সদানন্দকে রোববার লেখা চিঠিতে তিনি বলেছেন যে তারা আশা করছেন টিকা দেয়ার পাশাপাশি হার্ড ইমিউনিটির কারণে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রাজ্যটিতে তেমন ‘মারাত্মক’ হতে পারবে না। তবে ‘বহু রোগীর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে,’ বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এনডিটিভির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ডে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত এক লাখ ৬২ হাজার ৯৪৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বর্তমানে আক্রান্ত রয়েছেন ২৮ হাজার ১০ জন। আর এখন পর্যন্ত রাজ্যটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজার ৪৫৬ জন।

চিঠিতে হেমন্ত আরও বলেছেন, “রাজ্যটিতে ৭৬ হাজার ৬৪০ ডোজ করোনা ভ্যাকসিনের চাহিদার বিপরীতে পাওয়া গেছে আট হাজার ৩৮ ডোজ।”

চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, “আমরা বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের কাছ থেকে ৫০ হাজার শিশি রেমডেসিভিরের দরপত্র পেয়েছি। এর দাম পড়বে ১০ লাখ ডলার।”

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেন, “আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু পাইনি। কেউ একজন আমাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে (ওষুধের) রপ্তানি মূল্য সম্পর্কে জেনেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “তাকে বলেছি যে রপ্তানির জন্যে আমাদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণের রেমডেসিভির নেই, তাই এটি সরবরাহ করতে সময় লাগবে।”

“এখন পর্যন্ত সবকিছু অনানুষ্ঠানিক পর্যায়ে রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে অর্ডার পেলে তখন মন্তব্য করতে পারবো। রপ্তানিতে অনেক আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। এছাড়া, দেখতে হবে আমরা কী পরিমাণ রপ্তানি করতে পারি এবং তা করতে কত সময় লাগবে। যা হোক, এখনো সবকিছু খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাই কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না।”

গত বছর মে মাসে করোনার চিকিৎসার জন্যে জেনেরিক রেমডেসিভিরের পরিচিতি ঘটায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়