প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পাবে সোয়া ৩৬ লাখ পরিবার: কাদের
বৈশ্বিক সংকটে সরকারের পাশাপাশি অসহায় ও কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার নিজ সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহবান জানান।
রমজানের ত্যাগ ও সংযমের মাসে অসহায় দরিদ্রদের প্রতিও মানবিক সহায়তায় এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার করোনা এবং লকডাউনে অসহায় কর্মহীন মানুষের আর্থিক সুরক্ষায় ইতিমধ্যেই বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্থ ১ কোটি ২৫ লাখ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।
বিপন্ন মানুষের পাশে সবার আগে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংস্কৃতি জানিয়ে তিনি বলেন, আসন্ন ঈদে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার হিসেবে ৩৬ লাখ ২৫ হাজার দরিদ্র পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
দেশের গণতন্ত্র নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধরণ সম্পাদক কাদের আগে নিজ দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়ে বলেন, কথায়, আচরণে, রাজনীতিতে আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চা করে বিএনপি। হালুয়া রুটির গণতন্ত্র এখন জনগণ আর চায় না।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা ভাইরাস রাজনৈতিক দল চিনে না, প্রতিদিনই হারাচ্ছি মূল্যবান প্রাণ,দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। তাই এই সময়ে দোষারোপের রাজনীতি নয়, নয় অন্ধ সমালোচনার তীর ছোড়া,সবাইকে সংক্রমণ রোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সেতু বিভাগের সাথে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
পর্যালোচনা সভায় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নানান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে চলছে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ। ইতিমধ্যেই ৪১ টি স্প্যান বসানো হয়েছে, এখন রেলওয়ে ও সড়ক পথের স্ল্যাব বসানোর কাজ এগিয়ে চলছে। শনিবার পর্যন্ত পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি শতকরা ৮৫ ভাগ।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০২২ সালের জুন মাসে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিমধ্যে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ একটি টিউবের রিং প্রতিস্থাপনসহ বোরিং কাজ শেষ হয়েছে,এর মধ্যে টিউবটির ৪০০ মিটার রোড স্ল্যাব নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত টানেল নির্মাণ কাজের অগ্রগতি শতকরা ৬৬.৫০ ভাগ।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং এয়ারপোর্ট রোড হতে আশুলিয়া বাইপাইল হয়ে ঢাকা ইপিজেড পর্যন্ত চার লেনের সড়ক ও উড়ালপথ নির্মাণ প্রকল্পের কিছুটা গতি পেলেও আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি বলেও জানান সড়ক পরিবহন মন্ত্রী।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস