মার্কেট খোলা রাখার দাবিতে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার দাবিতে সোমবার বিকেলে নগরের নিউ মার্কেট মোড় ও রিয়াজউদ্দিন বাজারের সামনে মিছিল-সমাবেশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। ওই সময় তারা ব্যবসায়ীদের ক্ষতি থেকে বাঁচানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। এ কর্মসূচিতে সহস্রাধিক দোকান মালিক ও কর্মচারী অংশ নেন।
একই দাবিতে দুপুর ১২টার দিকে নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্রে বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ব্যবসায়ীরা।
চট্টগ্রাম নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজার তামাকুমণ্ডি লেন বণিক সমিতির সভাপতি আবু তালেব বলেন, ‘শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার জন্য আমরা প্রস্তুত। রমজান ও ঈদকে সামনে ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকার কাপড়সহ মালামাল তুলেছে। কিন্তু লকডাউনে মার্কেট বন্ধ রাখায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গত ঈদেও করোনার কারণে দোকান বন্ধ রাখায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি।’
আবু তালেব আরও বলেন, কর্মসূচিতে নগরের প্রায় ১১০ টি মার্কেটের দোকান ও কর্মচারীরা অংশ নিয়েছেন। এসব মার্কেটের ১০ হাজার দোকানে ৫০ হাজার মালিক কর্মচারী রয়েছেন। এই ঈদে কেনাবেচা করতে না পারলে তাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকারি অন্য দপ্তরের ন্যায় শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেটগুলো খোলা রাখা হোক।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন জানান, মার্কেট খোলা রাখার দাবিতে ব্যবসায়ীরা বিকাল তিনটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে।
এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নগরের জিইসির ইউনেস্কো শপিং ব্যবসায়ী সমিতি ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে লকডাউন প্রত্যাহার এবং মার্কেট খোলা রাখার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এদিকে বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সেখানকার ব্যবসায়ীরা। মিছিলে ৬০-৭০ জন ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারী অংশ নেন। মিছিলটি শহরের পূর্ব বাজার থেকে শুরু হয়ে পশ্চিম বাজারে এসে শেষ হয়। চৌমুহনী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, গত বছর টানা লকডাউনের কারণে ব্যবসায়ীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে এবার তারা রাস্তায় নেমেছেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস