News Bangladesh

স্টাফ রিপোর্টার || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:৫৯, ৫ এপ্রিল ২০২১
আপডেট: ১০:৫৯, ৫ এপ্রিল ২০২১

জান্নাত আরার সাবেক স্বামী শহিদুল আটক

জান্নাত আরার সাবেক স্বামী শহিদুল আটক

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নারীসহ শনিবার (০৩ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীরা।  পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।  এ সময় মামুনুল হক দাবি করেন, সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী যিনি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু শহিদুল ইসলামের সাবেক স্ত্রী ছিলেন।  এ ঘটনার পর এবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেই শহিদুল ইসলামকে খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।

রোববার (০৪ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে তাকে আটক করা হয়। 

জানা গেছে, জান্নাত আরা ঝর্ণা ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ওলিয়ার রহমান ওরফে ওলি মিয়ার মেঝো মেয়ে।  ওলিয়ার রহমান কামারগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

মামুনুল হক ওই নারীর নাম আমেনা তৈয়াবা বললেও ওই নারী নিজেকে জান্নাত আরা বলে পরিচয় দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও গণমাধ্যমে প্রচারের পর এ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।  উপজেলাজুড়ে এখন ঝর্ণাকে নিয়েই চলছে আলোচনার ঝড়।

এদিকে সরেজমিনে রোববার (৪ এপ্রিল) সকালে ঝর্ণার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার পিতা ওলিয়ার রহমান ও মাতা শিরীনা বেগমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের মেয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণার নয় বছর বয়সে বিবাহ হয়েছিল হাফেজ শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে।  তার বাড়ি বাগেরহাটের কচুড়িয়া এলাকায়।  তাদের আব্দুর রহমান (১৭) ও তামীম (১২) নামে দুজন পুত্রসন্তান রয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানান, পারিবারিক কলহের জেরে আড়াই বছর আগে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়।  তারপরে দু’বছর আগে পরিবার থেকে পাত্র দেখে মেয়েকে বিবাহ করার কথা বললে সে বলত তার বিবাহ হয়ে গেছে, তাই তার জন্য আর কোনো পাত্র না দেখতে।  তবে কার সঙ্গে সে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে, সে কথাটি পরিবারকে জানায়নি কখনো।  শুধু একবার ভিডিও কলে তার দ্বিতীয় স্বামী মামুনুল হককে দেখিয়েছিল কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি তিনি ছিলেন মাওলানা মামুনুল হক।

প্রথম স্বামী হাফেজ শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদুল্লাহর সঙ্গে জান্নাত আরা ঝর্ণার পরিবারের কোনো যোগাযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তারা জানান, ডিভোর্সের পরে তার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ রাখেনি তারা।  তাই হাফেজ শহীদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের কোনো মাধ্যম না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খান জানান, ঝর্ণার বাবা ওলিয়ার রহমান একজন সহজ সরল মানুষ। কামারগ্রাম চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।  তার মেয়ের আগে বিয়ে হয়েছে।  তার দুই ছেলেও আছে, পরে বিয়ে হয়েছে কিনা জানি না। এলাকার কেউ জানে বলেও মনে হয় না।

প্রসঙ্গত, শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রয়াল রিসোর্টের ৫ম তালার ৫০১ নম্বর কক্ষে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে ‘নারীসহ’ অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা। 

পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।  মামুনুল হকের দাবি, সঙ্গে থাকা নারী নাম আমিনা তৈয়ব। তিনি মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী। আমিনাকে সঙ্গে নিয়ে রিসোর্টে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি।

একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মুক্ত হয়ে তিনি ফেসবুক লাইভে গিয়ে বলেন, ‘আপনাদের ভালোবাসার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।  সাংবাদিক ও পুলিশ আমার সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করেনি।  কিছু বাইরের লোক খারাপ আচরণ করেছে।  আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম।’ মামুনুল হকের দাবি, সঙ্গে থাকা নারীর নাম আমিনা তৈয়ব। তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
 

নিউজবাংলাদেশ.কম/ডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়