রাজধানীতে গলাকাটা অবস্থায় গৃহকর্মীকে উদ্ধার
রাজধানীর নয়াপল্টনের একটি বাসা থেকে কুলসুম আক্তার (১৬) নামে এক গৃহকর্মীকে গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা গৃহকর্ত্রী ফেরদৌসী আক্তার জানান, রাতে সবাই ঘুমিয়ে ছিল। সকালে আমার স্বামী আমিনুল ইসলাম বাইরে যাওয়ার সময় কুলসুম নাস্তা বানিয়ে দেয়। পরে আবার রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরে সে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বড় ছেলের স্ত্রী রান্নাঘরে গিয়ে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় নিচে পরে আছে কুলসুম। পরে সবাই মিলে কুলসুমকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তিনি আরও জানান, কুলসুমের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। রক্তে তার সারা শরীর ভিজে গেছে। তখন বাসার দরজা খোলা ছিল। কিভাবে কী হয়েছে তা বলতে পারছি না।
ঢামেক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, কুলসুমের শ্বাসনালী গভীরভাবে কেটে গেছে। আমরা সেটি সেলাই করার চেষ্টা করছি। শ্বাস নেওয়ার জন্য গলায় একটি নল করে দিচ্ছি। তার অবস্থা খুবই গুরুতর।
জানা গেছে, কুলসুমের বাড়ি লক্ষিপুর জেলার রায়পুর উপজেলায়। নয়া পল্টন ৭২ নম্বর ফারুক টাওয়ারে ১৫ তলায় গৃহকর্তা আমিনুল হক ও গৃহকর্ত্রী ফেরদৌসি আক্তারের বাসায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত সে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রক্তাক্ত আহত অবস্থায় ওই বাসার লোকজনই তাকে হাসপাতাল নিয়ে এসেছে। কারা কেন এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা কিছু জানা যায়নি। ঘটনাটি পল্টন থানায় জানানো হয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ