News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৬:১৭, ১৮ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ২০:৪০, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

ভারতের সঙ্গে ইংল্যান্ড-পাকিস্তানও থাকবে মাঠে!

ভারতের সঙ্গে ইংল্যান্ড-পাকিস্তানও থাকবে মাঠে!

আগামী ১৯ তারিখে ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু মাঠে কি কেবলই ভারতের বিপক্ষে লড়তে হবে টাইগারদের?

গত সোমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বিশ্বকাপের চার কোয়ার্টার-ফাইনালের ম্যাচ অফিসিয়ালদের নাম প্রকাশ করায় এ প্রশ্ন ওঠা এখন স্বাভাবিক। কারণ, এ তালিকায় দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচে মাঠে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের দুই আম্পায়ার।

আইসিসির বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ভারতের বিপক্ষে টাইগারদের ম্যাচে মাঠের আম্পায়ার থাকবেন ইংল্যান্ডের ইয়ান গৌল্ড ও পাকিস্তানের আলিম দার।

পাকিস্তানের বাংলাদেশ বিরোধীতার ঐতিহাসিক কারণের বাইরেও এবারের বিশ্বকাপে আলিম দার প্রশ্নবিদ্ধ আম্পায়ারিংয়ের (অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচ দ্রষ্টব্য যেখানে তিনি ইংল্যান্ডের জেমস টেলরকে আউট ঘোষণা করেন) কারণে বেশ সমালোচিতও হয়েছেন। আর বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটার থেকে শুরু করে দর্শকরাও যে কুৎসা গেয়ে চলছেন তা সামাজিক যোগাযোগ সাইট থেকে বেশ ভালোই উপলব্ধি করা যাচ্ছে। এছাড়া কোয়ার্টোরের খেলাটা যেহেতু ভারতের বিরুদ্ধে—ভারতীয়রাও জোরেশোরে করে যাচ্ছে একাজ।

পাকিস্তানে এখন কোনও দেশের ক্রিকেট দলই সফরে যায় না।বাজারে গুজব রটেছে, এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবারের ম্যাচে যদি আলিম দার বিশেষ কোনও উদারতা দেখান তাহলে তার দেশে ক্রিকেট সফরে যাওয়ার নিশ্চয়তা নাকি পাওয়া গেছে প্রতিবেশী একটি দেশ থেকে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন থাকে যে, আলিম দার মাঠে কতটুকু নিরপেক্ষ থাকতে পারবেন বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে? কারণ, সব মানুষই একটা পর্যায়ে দেশের স্বার্থে নীতি-নৈতিকতাকে ডিঙিয়ে অসম্ভব সব কাজ করে ফেলতে পারেন।এতে অন্যদের কাছে বেঈমান প্রমাণিত হলেও দেশের মানুষের কাছে তিনি পাবেন বীরের সম্মান!

আর অপরদিকে ইংল্যান্ডের ঘা তো এখনও দগদগে। বাংলাদেশের কাছে হেরেই যে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে ইংলিশদের। এ ঘটনায় অন্য সব ইংরেজদের মত আম্পায়ার ইয়ান গৌল্ডও কী তাতে কষ্ট পাননি? মাঠে কী তিনি পারবেন সব কষ্ট ভুলে নিরপেক্ষ থাকতে? আফটার অল ইংরেজরাও মানুষ। এই সেদিনও আয়রন লেডি মার্গারেট থ্যাচার মারা যাবার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা যান তার শেষকৃত্যে যোগ দিতে।কিন্তু আর্জেন্টিনার কাউকে স্বাগত জানায়নি তারা। এর পেছনের কারণ ছিল ফকল্যান্ড নিয়ে দুদেশের সেই যুদ্ধের ঘটনা। ওই সময়ে থ্যাচার ছিলেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী।

এ অবস্থায়েএমন প্রশ্ন আসতেই পারে, বৃহস্পতিবার কি শুধুই ভারত নাকি মাঠে ভারতের সঙ্গে ইংল্যান্ড আর পাকিস্তানকেও মোকাবেলা করতে হবে টাইগারদের? কারণ খেলা নিয়ে বিশেষ করে ফুটবল-ক্রিকেটের মত খেলায় যেখানে বিশ্বকাপের মতো বড় আয়োজন—সেখানে মাঠের খেলা নিয়ে এর বাইরে অনেক বড় বড় খেলা হয়ে যায়। এর প্রমাণ তো আমরা অনেক-ই পেয়েছি।

এখন অপেক্ষা বৃহস্পতিবারের সেই মহারণের। টাইগাররা সব আশঙ্কা-গুজব উড়িয়ে দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারে কি না—তাই দেখার অপেক্ষায় সবাই?

নিউজবাংলাদেশ.কম/একে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়