২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রেস সচিব
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময় জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে তার রোডম্যাপ প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে দিয়েছেন। এর চেয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ কী হতে পারে? আপনি আশা করতে পারেন, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসম্বের) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে নির্বাচনের সময় জানান তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সরকার কাজ করছে। নির্বাচন নিয়ে খুব স্পষ্ট রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে। এর থেকে ক্লিয়ার রোডম্যাপ কি হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আলোকপাত করেছেন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর বা ২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন। সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ তো নির্বাচন কমিশন দিবেন।
জুলাই আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞ চালানো কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, আইনের আওতায় এনে দোষীদের সঠিক বিচারে সরকার বদ্ধ পরিকর।
শিক্ষার উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের বিষয়েও জানান প্রেস সচিব।
তিনি বলেন, শিক্ষা খাতে গত ১৫ বছরে বাজেট না বাড়িয়ে অপ্রয়োজনীয় খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে উচ্চশিক্ষায়। শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিশন গঠনসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব আবুল কালাম মজুমদার বলেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ, কবে মনোনয়ন দাখিল হবে- এগুলো নির্বাচন কমিশনের কাজ। সরকারের কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। নির্বাচনটা যাতে সুষ্ঠু হয় এ জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের জাতীয় দাবি আছে রাজনৈতিক দল ও মানুষের পক্ষ থেকে। জুলাই বিপ্লবের চেতনা হচ্ছে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভোট দিতে পারে নাই। প্রধান উপদেষ্টার কাছে তরুণদের দাবি তারা যেন ভোট দিতে পারে, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত যেন হয়।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে কতটা সংস্কার হবে তা জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন সবার সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবে। ঐক্যমত্য কমিশন ছোট দল বড় দল নয়, সমাজের প্রতিটি অংশীজনের মতামতকে গুরুত্ব দেবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি