হাসিনা-রেহানার ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু
ফাইল ছবি
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থাৎ ৫৯ হাজার কোটি টাকাসহ ৯ প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
যেখানে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকসহ পরিবারের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের নিয়মিত বৈঠকে পৃথক দুটি অভিযোগ যাচাই বাছাই শেষে এই সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি ।
দুদক সূত্রে জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বেজা ও বেপজার বিভিন্ন প্রকল্পসহ ৯টি মেগা প্রকল্পে অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অন্তত ৮০ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ১৯ আগস্ট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শেখ হাসিনা পরিবারের দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
বেশ কয়েকটি পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার লোপাট করেছেন। বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধানকারী গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশনের তথ্যের বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদন করা হয়।
এর আগে হাইকোর্ট শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৬০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়ে রুল জারি করেছিল।
গত রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম তমাল।
এদিকে গত ৩ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটের বিবাদী করা হয়।
এই রুল জারির পর দুদক তাদের কার্যক্রম শুরু করে এবং বর্তমানে তাদের অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে, যার মাধ্যমে শিগগিরই এসব অভিযোগের উপর তদন্ত ও ফলাফল প্রকাশ হতে পারে।
এদিকে দুদক সূত্র জানিয়েছে, আপাতত এই চারজনের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক। তবে অনুসন্ধানে আরও ব্যক্তিদের নাম আসতে পারে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি