দেশের একমাত্র উপকূলীয় নদীবন্দর ‘সন্দ্বীপ’
ফাইল ছবি
সন্দ্বীপকে নদীবন্দর ঘোষণা করেছে সরকার। এর মধ্য দিয়ে একমাত্র উপকূলীয় নদীবন্দর পেলো দেশ।
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপকূলীয় নদীবন্দরের সীমানা নির্ধারণ করে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ওই প্রজ্ঞাপন গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। এটি হচ্ছে দেশের একমাত্র উপকূলীয় নদীবন্দর।
একই দিনে পৃথক গেজেটে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) সন্দ্বীপ উপকূলীয় নদীবন্দরের সংরক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
সন্দ্বীপকে নদীবন্দর ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপনে নদীবন্দরের চারদিকের সীমানার অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ উল্লেখ করা হয়। ভূ-ভাগের সীমানার বর্ণনা দিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সন্দ্বীপ দ্বীপের চারপাশের তীরের সাধারণ ভরাকটালের সময় সর্বোচ্চ পানি সমতল থেকে ভূ-ভাগের দিকে ৫০ মিটার পর্যন্ত এর সীমানা বিস্তৃত। সন্দ্বীপ উপকূলীয় এলাকার ওই সীমানার মধ্যে খালগুলো নদীবন্দরের সীমানার আওতাভুক্ত হবে।
এ নিয়ে নদীবন্দরের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৪টিতে। এর মধ্যে ৪টি বড় নদী বন্দর হচ্ছে ঢাকা (সদরঘাট), নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর ও বরিশাল। এছাড়া দেশের কন্টেইনার টার্মিনাল নদীবন্দর হচ্ছে ঢাকার পানগাঁও।
সন্দ্বীপকে নদীবন্দর ঘোষণা নদী পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি সাধনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর ফলে দেশের নৌপথের গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেল।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি