সরকারি কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কড়া নির্দেশনা
ফাইল ফটো
এবার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করতে কড়া নির্দেশনা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে গত সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এক পরিপত্রের মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনাগুলো হলো-
*সাধারণভাবে বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হবে।
*বছরের সম্ভাব্য বিদেশ ভ্রমণের একটা তালিকা জানিয়ে রাখতে হবে।
* বিদেশ ভ্রমণের জন্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক তথ্যভাণ্ডার তৈরি করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার অফিস এর কাঠামো তৈরি করে দেবে এবং এর তথ্য সংরক্ষণ করবে।
*সব স্তরের সরকারি কর্মকর্তারা একাধারে বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করবেন।
*বিদেশে অনুষ্ঠিতব্য সেমিনার/ওয়ার্কশপ ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের জন্য উপদেষ্টা ও সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের প্রস্তাবের ক্ষেত্রে আমন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কোন পর্যায়ের কর্মকর্তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং অপরাপর অংশগ্রহণকারী দেশ থেকে কোন পর্যায়ের কর্মকর্তারা তাতে অংশ নিচ্ছেন তেমন তথ্য সন্নিবেশ করতে হবে।
*সরকারি অর্থে কম প্রয়োজনীয় ভ্রমণ অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
*সব স্তরের সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশে বিনোদন ভ্রমণ পরিহার করবেন।
*সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষা ছুটিতে যাওয়া পরিহার করবেন।
*বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত কর্মকর্তার পূর্ববর্তী এক বছরের বিদেশ ভ্রমণ বৃত্তান্ত সংযুক্ত করতে হবে।
*মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ সাধারণভাবে পরিহার করবেন। তবে জাতীয় স্বার্থে অনুরূপ ভ্রমণ একান্ত অপরিহার্য হলে তেমন অপরিহার্যতার বিষয় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
*মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধীনস্থ অধিদফতর বা সংস্থা প্রধানরা একান্ত অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থ ব্যতিরেকে একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে যাবেন না।
*বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব পেশকালে ওই ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা এবং প্রস্তাবিত কর্মকর্তার ওই কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টতা ও উপযোগিতার বিষয় উল্লেখ থাকতে হবে।
*কেনা-কাটা, প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন কিংবা ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপ্ট্যান্স টেন্ট ইত্যাদির ক্ষেত্রে কেবল সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ পাঠানোর বিষয় বিবেচনা করতে হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি/এনডি