জুলাই বিপ্লবের কন্যাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা
ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থান ঘটেছে, সেখানে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন নারীরা। শহীদ হওয়ার পাশাপাশি অনেক নারী আহতও হয়েছেন।
সেই উত্তাল সময়ের বিপ্লবী কন্যাদের সঙ্গে কথা বললেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শিক্ষার্থীরা উৎসাহ ও উদ্দীপনায় তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও দাবির কথা তুলে ধরলে তা মনোযোগ দিয়ে শোনেন সরকারপ্রধান।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ‘জুলাইয়ের কন্যারা... আমরা তোমাদের হারিয়ে যেতে দেব না’ শিরোনামে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সময়ের সাহসী নারীদের সাক্ষাতের এ আয়োজন করে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এতে জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা অংশ নেন। কর্মজীবী নারীদেরও এতে অংশ নিতে দেখা যায়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস নারী শিক্ষার্থীদের নিজেদের ও দেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেন এবং তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও নানা দাবির কথা শোনেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজ অনেক উচ্ছ্বাসের দিন, ক্ষোভের দিন, ইমোশনের দিন। আজ সব একসঙ্গে প্রকাশ করার দিন। উচ্ছ্বাস আছে বলেই তো আমরা এখানে আছি। উচ্ছ্বাস-ক্ষোভ না থাকলে আমরা তো মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে পারতাম না। এগুলো আছে থাকবে। যখনই দরকার তখন প্রকাশ করব। যখন যেখানে যতটুকু দরকার ততটুকু প্রকাশ করব। সেই শক্তি যেন আমাদের থাকে।
তিনি আরও বলেন, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-কর্মজীবী মেয়ে এমনকি বাসায় থাকে যে যেখানে পারে সেখান থেকে এসে এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছে এবং সমানভাবে এগিয়ে এসেছে। এটা বাংলাদেশকে একেবারে পরিবর্তন করে দিয়েছে। ফলে ৫ আগস্টের আগের বাংলাদেশ আর নেই। এটা নতুন বাংলাদেশ। নতুন এই বাংলাদেশ আমরা গড়ব। দেশ বদলানোর যে প্রতিজ্ঞা তোমরা নিয়েছো সেটা ধরে রাখবা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজনটির বিষয়ে জানিয়েছে, আজকের জুলাই বিপ্লবের কন্যাদের কীর্তিগাঁথা ও অবদানকে উপজীব্য করে ‘জুলাইয়ের কন্যারা আমরা তোমাদের হারিয়ে যেতে দেব না’ শীর্ষক নারী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এতে জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়া কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবী নারীরাও আয়োজনে অংশ নেন। শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও দাবির কথা জানান।
নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি