News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৬:৫৪, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজ নয় বিজয় মেলা হবে: মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা

বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজ নয় বিজয় মেলা হবে: মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা

ফাইল ফটো

প্রতিবছরের মতো এবার বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজ হবে না। তবে বিজয় দিবসকে উৎসব মুখর করতে সারা দেশে বিজয় মেলার আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

ইউএনবিকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বিজয় দিবস আমাদের জাতির জন‍্য অনন‍্য দিন। ৯ মাস যুদ্ধ করে জাতি এই বিজয় অর্জন করেছে। সারা দেশের মানুষ যুদ্ধে সম্পৃক্ত ছিল। একসময় গ্রামে ও সারা দেশেই এই বিজয় উৎসব হতো। ধীরে এই উৎসব নিষ্ক্রিয় ছিল। এবার সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিজয় মেলা হবে।’

ফারুক ই আজম বলেন, ‘সেখানে চারু ও কারুমেলার সঙ্গে কৃষিপণ্যের মেলা হবে। তার সঙ্গে দেশীয় পণ্য পরিবেশন করা হবে। মেলায়, শিশু, নারী, পুরুষ সবার অংশগ্রহণ থাকবে। এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সবাই আনন্দ উপভোগ করবে। পাশাপাশি স্কুলগুলোতে অনুষ্ঠান হবে।’

উপদেষ্টা বলেন, আগে যে প্রচলিত কুচকাওয়াজ হতো, এতে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকত না, সেখানে স্কাউট ও স্বেচ্ছাসেবকরা থাকত। তার সঙ্গে অন‍্যান‍্য বাহিনী থাকত। এতে সরাসরি জনগণের সম্পৃক্ততা ছিল না। এবার শিশু, নারী, পুরুষ সব শ্রেণির জনগণকে সম্পৃক্ত করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতীয় প‍্যারেড স্কয়ারে এবার কুচকাওয়াজ হচ্ছে না। কারণ সেনাবাহিনী এখন সারাদেশে ব‍্যস্ত। এটার জন‍্য একটা প্রস্তুতির বিষয় আছে। তাই এবার প‍্যারেড স্কয়ারে কুচকাওয়াজ হচ্ছে না। এটার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি প্রয়োজন।’

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় স্টেডিয়ামে আগে প্রধানমন্ত্রী পোগ্রামে যেতেন। এবার প্রধান উপদেষ্টা যাবেন কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, না উপদেষ্টা যাবেন না। এরকম প্রোগ্রাম হচ্ছে না। প্রতিটি জেলা ও উপজেলার প্রোগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। তেমনি ঢাকায় এখানকার জেলা প্রশাসন করবে।

উপদেষ্টা বলেন, আগে প্রশাসন করত কুচকাওয়াজ, এখন প্রশাসন মেলার আয়োজন করবে। সেখানে স্ব স্ব এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় সব পর্যায়ের জনগণ অংশ নেবেন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।  ১৪ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতি জাতীয় বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে যাবেন। সেখানে অনুষ্ঠান আছে। তারপর রায়ের বাজার যাবেন এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়