ডেঙ্গুতে প্রাণ গেলো আরও ৫ জনের, হাসপাতালে ৫৭০ জন
ফাইল ফটো
সারাদেশে ডেঙ্গুতে চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৫১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৪ হাজার ৮৮৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যে পাঁচজন মারা গেছেন, তার মধ্যে তিনজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আর ঢাকা বিভাগীয় এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দুজন।
আর নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ২০৮ জন, ঢাকা বিভাগে ১২৭ জন, ময়মনসিংহে ১৭ জন, চট্টগ্রামে ৪৭ জন, খুলনায় ৬৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫০ জন, রংপুর বিভাগে একজন, বরিশাল বিভাগে ৫৪ জন এবং সিলেট বিভাগের হাসপাতালে দুইজন ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২ হাজার ৩৬৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৯৫৮ জন; আর ১ হাজার ৪১১ ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি।
এ বছর মোট ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৫৭ হাজার ১৬ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৭ হাজার ৮৬৮ জন।
চলতি বছর সবচেয়ে বেশি ৩০ হাজার ৮৭৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন অক্টোবর মাসে। সে মাসে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এক মাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বরে, ১৭৩ জন। নভেম্বর মাসে ২৯ হাজার ৬৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ডিসেম্বরের প্রথম পাঁচদিনে ৩৪১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন; মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের।
জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৫৫ জন, যাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩৩৯ জন, মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১১ জন; যাদের মধ্যে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এপ্রিল মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০৪ জন, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। মে মাসে ৬৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। জুন মাসে ৭৯৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে আটজনের।
জুলাই মাসে ২ হাজার ৬৬৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন, তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়। অগাস্টে ৬ হাজার ৫২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, মারা গেছেন ২৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি