‘শূন্য বর্জ্য’ ভিত্তি করে জীবনধারা গড়ার পরামর্শ ড.ইউনূসের
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার আজারবাইজানে কপ২৯-এর সম্মেলনে বক্তৃতা দেন। ছবি: সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথিবীকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য ‘শূন্য বর্জ্য ও শূন্য কার্বন’-এর ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন জীবনধারা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি একটি নতুন পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে তিনটি শূন্য ভিত্তিক তার দীর্ঘদিনের স্বপ্নকে উপস্থাপন করেন।
একই সঙ্গে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলনের পার্শ্ব ইভেন্টে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বক্তব্যকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
সম্মেলনে বক্তৃতাকালে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশের সুরক্ষার জন্য এক নতুন জীবনধারা প্রয়োজন। এই জীবনধারা আরোপ করা হবে না, এটি হবে এক স্বতঃসিদ্ধ পছন্দ। তরুণরা এ জীবনধারাকে তাদের ব্যক্তিগত পছন্দ হিসেবে নেবে।
নেপাল-ভুটানের জলবিদ্যুতের জন্য দক্ষিণ এশিয়া গ্রিড তৈরির আহ্বান
তিনি বলেন, প্রতিটি তরুণ নিজেকে তিন শূন্য বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলবে। শূন্য বর্জ্য, শূন্য নিট কার্বন নির্গমন, শূন্য সম্পদ মুনাফা (শুধুমাত্র সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে) এবং শূন্য বেকারত্ব, অর্থাৎ নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে পরিণত করে। প্রতিটি ব্যক্তি নিজেকে তিন শূন্য বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলবে এবং সারাজীবন ধরে তা বজায় রাখবে। এর মধ্য দিয়েই নতুন সভ্যতার জন্ম হবে।
সম্মেলনের সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া বক্তৃতায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি জলবায়ু বিপর্যয়কে একটু অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করার অনুমতি চাই। এ দৃষ্টিকোণ আমাদের জলবায়ু ধ্বংস মোকাবিলার চেয়ে আরও ধ্বংস রোধের দিকে নিয়ে যাবে। এটি একটি বৃহৎ লক্ষ্য এবং বড় প্রশ্নের জন্ম দেয়।
তিনি বলেন, আমি আপনার সহানুভূতি চাই যে, আমি আপনাদের সঙ্গে আমার বহুদিনের স্বপ্নের কথা শেয়ার করতে পারি, যেখানে একটি নতুন ‘তিন শূন্য’ বিশ্ব গড়ে তোলার কথা রয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি