News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৬:৩৪, ২০ মে ২০২১
আপডেট: ১৭:৪০, ২০ মে ২০২১

আগামী প্রজন্মের জন্য কাঠামো তৈরী করে দিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

আগামী প্রজন্মের জন্য কাঠামো তৈরী করে দিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার ভবিষ্যতে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের একটি কাঠামো করে দিয়ে যাচ্ছে, যাকে ধরে আগামী প্রজন্ম দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
তার সরকারের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় তিনি যেটা করতে পেরেছেন, এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটা কাঠামো তিনি তৈরি করে দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সাল পর্যন্ত কি করণীয়, স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপনকালে ২০৭১ সালে বাংলাদেশ কোথায় যাবে বা ২১০০ সালে এই ব-দ্বীপ অঞ্চলের বাসিন্দারা যেন এক সুন্দর জীবন পেতে পারে তারও একটা পরিকল্পনা করে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২১ এ ভূষিত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারণ লক্ষ্য যদি স্থির থাকে তাহলে এগিয়ে চলা সম্ভব। সেজন্য যতটুকু আমরা করে দিয়ে যাচ্ছি এতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যারাই আসবে তারা যেন উন্নয়নের গতিধারাকে অব্যাহত রাখতে পারে।
তিনি বলেন, এই কাঠামোটা সময়ের বিবর্তনে পরিবর্তনশীল। কারণ যুগের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়েই সকলকে চলতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তি, বিজ্ঞানের বিকাশ, নব নব উদ্ভাবন আমাদেরকে নতুন করে পথ দেখাবে। যার সঙ্গে তাল মিলিয়েই চলতে হবে।
যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল ’৭৫ এর পর তা হারিয়ে গেলেও তার সরকার সেই আদর্শকে আবারো ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের নতুন প্রজন্ম এখন ইতিহাসকে জানতে চায়। শিকড়ের সন্ধান করে বিজয়ের কথাটা চিন্তা করে নিজেদেরকে গর্বিত মনে করে-এই ধারা অব্যাহত থাকলে অবশ্যই বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে এবং জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা পূরণ করতে সক্ষম হব।’
অদৃশ্য শত্রু করোনাভাইরাসের নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তিনি পুনরায় বলেন, দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে সেটা যেন এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য সকলে দোয়া করবেন এবং কাজ ও করবেন এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন ও এই দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এ পুরস্কার প্রদান করে আসলেও এবার করোনার কারনে বিলম্ব হয়।
স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণপদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আয়োজিত এই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং তিনিই পুরস্কার বিজয়ীদের সাইটেশনও পাঠ করেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়