দৌলতদিয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি
ঈদের ছুটি শেষে মানুষ তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করেছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। যেখানে মানা হচ্ছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি। নেই অনেকের মুখে মাস্ক।
এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীদের তিন চাকার যানবাহনে ঘাট এলাকায় পৌঁছাতে হচ্ছে ভেঙে ভেঙে। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
সোমবার (১৭ মে) সকালে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে প্রতিটি ফেরিতে ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
ফেরিঘাটে আসা কয়েকজন যাত্রী বলেন, ঈদের আগে অনেক কষ্ট করে বাড়ি যেতে হয়েছে। এখন আবার কষ্ট নিয়েই কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
সুমন নামে এক যাত্রী বলেন, স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ভোগান্তি নিয়েই ঈদে বাড়ি গিয়েছিলাম। ছুটি শেষে কর্মজীবনে ফিরতে হচ্ছে।
তবে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় ঘাট পার হওয়ার পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে ভেঙে ভেঙে ঢাকা আসছেন কর্মজীবী মানুষরা। গন্তব্যে পৌঁছাতে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. ফিরোজ শেখ বলেন, ঈদ পরবর্তী যানবাহন ও যাত্রী পারাপার নির্বিঘ্ন করতে বর্তমানে এই রুটে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদ শেষে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ রাজধানীর দিকে ছুটতে শুরু করেছেন। সকাল থেকেই ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। পাশাপাশি ঈদের আগে যারা ছুটিতে আসতে পারেনি তাদের অনেকেই ঈদের পর ঢাকা থেকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরিগুলোতে বাড়িতে যাচ্ছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/ডি