জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী ৩ দিনের রিমান্ডে
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদে তিন দিনের হেফাজত পেয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে সাতকানিয়া থেকে শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে শনিবার দুপুরে হাটহাজারী থানার নাশকতার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আব্দুল্লাহ আল মাসুস বলেন, "হাটহাজারীর সহিংসতার একটি মামলায় সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার ইকবাল তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।"
এরআগে সকালে তিনি বলেছিলেন, "স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে হাটহাজারীতে তিনদিন ধরে যে তাণ্ডব চালানাো হয়, সেখানে শাহজাহান চৌধুরীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।"
নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় নেমে বিক্ষোভ ও হরতালের সময় হাটহাজারীতে ব্যাপক সহিংসতা ও তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা।
তাণ্ডবের প্রথম দিন ২৬ মার্চ হাটহাজারী থানায় আক্রমণ করে ভাংচুর চালায় কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠনটির কর্মীরা।
পাশাপাশি সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়, উপজেলা সদর ভূমি অফিসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়। সহিংসতার সময় সড়কে দেয়াল তুলে ২৬-২৮ মার্চ পর্যন্ত তিনদিন চট্টগ্রামের সঙ্গে খাগড়াছড়ির যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয় সংঘাতকারীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নারায়ণগঞ্জেও হেফাজতের সহিংসতা ছড়িয়েছিল।
হাটহাজারীতে সংঘর্ষের চারদিন পর ৩০ মার্চ রাতে পুলিশ বাদি হয়ে চারটি ও ভূমি অফিসে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুটিসহ মোট ছয়টি মামলা করে।
এসব মামলায় কারো নাম উল্লেখ না করে কয়েক হাজার অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার প্রায় এক মাস পর গত ২২ এপ্রিল হেফাজত ইসলামের নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী ও বিএনপি নেতা মীর হেলালকে আসামি করে আলাদা তিনটি মামলা করা হয়।
এসব নাশকতার ঘটনায় হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন নেতাকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তাদের মধ্যে অন্তত দুজন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি