News Bangladesh

স্টাফ রিপোর্টার || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২০:০৮, ১১ মে ২০২১
আপডেট: ২১:২৯, ১১ মে ২০২১

মিতু হত্যা: স্বামী বাবুল আক্তারকে ‘জিজ্ঞাসাবাদ’

মিতু হত্যা: স্বামী বাবুল আক্তারকে ‘জিজ্ঞাসাবাদ’

মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের সঙ্গে কথা বলেছে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

এ হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছরের মাথায় মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী এলাকায় পিবিআই মেট্রো অঞ্চলের কার্যালয়ে উপস্থিত হন বাবুল আক্তার।

পিবিআই প্রধান, পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার বলেন, “মামলার বাদী হিসেবে বাবুল আক্তার আজ (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম গেছেন। তিনি কথা বলেছেন মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সাথে। এটাকে জিজ্ঞাসাবাদ বা তদন্তের বিষয়ে জানতে চাওয়া, যে কোনো কিছুই বলা যেতে পারে।”

বাবুল আক্তার স্ত্রী হত্যা মামলার বাদী হলেও তার শ্বশুর অভিযোগ করে আসছেন, তার মেয়েজামাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত।

এক প্রশ্নের জবাবে পিবিআই প্রধান বলেন, “মামলার প্রয়োজনে আমরা তাকে ডেকে নিয়ে কথা বলেছি।”

এর আগেও তদন্ত কর্মকর্তা বেশ কয়েকবার বাবুল আক্তারের সঙ্গে কথা বলেছে বলে জানান তিনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই মেট্রো অঞ্চলের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হত্যা মামলার বাদী হিসেবে তিনি (বাবুল আক্তার) আমাদের কাছে এসেছিলেন। বিষয়টি তদন্তাধীন হওয়ায় উনার সাথে কী কথা হয়েছে, তা বলা যাবে না।”

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু।

পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দিয়ে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল। তার আগে তিনি চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন বাবুল আক্তার নিজেই।

এরপর ওই বছরের ২৪ জুন ঢাকার বনশ্রীর শ্বশুরের বাসা থেকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এরপর নানা গুঞ্জনের মধ্যে ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর বাবুলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শুরু থেকে নগর গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করলেও প্রায় তিন বছরেও তারা এই হত্যাকাণ্ডের কূলকিনারা করতে পারেনি।

এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআইকে দেয়।

পিবিআই মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই দেশজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে লকডাউন শুরু হয়। এতে তদন্তের অগ্রগতিতে ভাটা পড়ে।

দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মধ্যে পিবিআই আলোচিত এ মামলার সাক্ষী ও আসামি মিলিয়ে ১২ জনের সঙ্গে কথা বলেছে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এর মধ্যে দুই আসামি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়