অবৈধ অর্থকে বৈধ করার সুবিধা গ্রহণযোগ্য নয়: সিপিডি
অবৈধ অর্থকে বৈধ করার সুবিধা স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে আদৌ গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের কনভেনার ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এসময় আগামী অর্থবছরের (২০২১-২০২২) বাজেটে নতুন কর আরোপ না করে কর ফাঁকি বন্ধে প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান করেন।
রোববার নাগরিক প্ল্যাটফর্ম জাতীয় বাজেট ২০২১-২২: পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কী থাকছে শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন সিপিডি) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এতে আরও বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
আগামী বাজেটে নতুন কর আরোপ না করে কর ফাঁকি বন্ধে প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে দেবপ্রিয় বলেন, আগামী বাজেটে নতুন কোনো কর বা কর হার বৃদ্ধি করা উচিত হবে না। প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি করে করের আওতা বাড়ানো ও কর ফাঁকি কমিয়ে আনতে হবে। যারা কর দেয় না, তাদের কাছ থেকে কর আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যবসায়ীক গোষ্ঠীর সুবিধায় বিভিন্ন রেয়াতি সুবিধা রয়েছে, যা এখন বাদ দিতে হবে। আবার অভ্যন্তরীণ বাজারে শ্রমঘন শিল্পের ক্ষেত্রে কর হার নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে রাখা জরুরি।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগকে যুক্তিহীন এমন মন্তব্যে করে তিনি বলেন, অর্থনৈতিকভাবে যুক্তিহীন, নৈতিকভাবে গর্হিত এবং রাজনৈতিকভাবেও অপকারী হচ্ছে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত না আনা বা তাদের জবাবদিহিতার মধ্যে না আনা। এসব সুযোগ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। একদিক দরিদ্রের জন্য ব্যয় বৃদ্ধি করতে পারব না। অন্যদিক অবৈধ অর্থকে বৈধ করার সুবিধা স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। এছাড়া যারা নিয়মিত কর দেয় তাদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিকভাবে হয়রানিসহ ইত্যাদি কাজ যেন বন্ধ করা হয়।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/এএস