টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে কেন্দ্র পরিবর্তন করা যাবে
করোনাভাইরাসের টিকাদানের জন্য নির্ধারিত কেন্দ্র পরিবর্তনের সুযোগ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ফলে প্রথম ডোজ যে কেন্দ্র থেকে নেওয়া হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজ সেখান থেকে নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকল না।
তবে এ নিয়ম এক জেলা থেকে আরেক জেলা বা সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য প্রযোজ্য হবে। সিটি করপোরেশন বা জেলার অভ্যন্তরে টিকাদান কেন্দ্র পরিবর্তন করা যাবে না।
লকডাউনের কারণে অনেসকে বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়ায় পরবর্তী টিকাগ্রহণ নিয়ে উদ্বেগে পড়েন। এই পরিস্থিতিতে বুধবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন কারণে টিকা গ্রহীতাদের অনেকের পক্ষেই প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার স্থান থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় প্রথম ডোজ নেওয়ার স্থান নির্বিশেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্ধারিত কেন্দ্রগুলো থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়া যাবে। তবে একই জেলা বা সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
এক্ষেত্রে প্রথম ডোজ দেওয়ার ভ্যাকসিন কার্ড দেখিয়ে টিকা নিতে হবে।
বুধবার এই নির্দেশনা দেশের সব হাসপাতালের পরিচালক, সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন, সব সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক বৃহস্পতিবার বলেন, বিভিন্ন কারণে প্রথম ডোজ নেওয়া টিকাদান কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় ডোজ নিতে অনেকের সমস্যা হচ্ছে। এই দুর্ভোগ লাঘবের জন্য নতুন এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
“ধরেন আপনি ঢাকা থেকে টিকা নিলেন। চাকুরি বা অন্য কোনো কারণে আপনি বগুড়া, বা চট্টগ্রাম চলে গেলেন। সেখানে জেলা হাসপাতাল, উপজেলা হাসপাতালে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য ঢাকায় আসতে হবে না। কিন্তু আপনি ঢাকার এক কেন্দ্র থেকে আরেক কেন্দ্রে পরিবর্তন করতে পারবেন না। একই জেলার এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় কেন্দ্র পরিবর্তন করতে পারবেন না।
তবে পুলিশ হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এই নিয়মে টিকা নেওয়া যাবে না বলে জানান ডা. শামসুল হক।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একযোগে শুরু হয় কোভিড-১৯ এর গণটিকাদান। গত ৮ এপ্রিল শুরু হয় টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারাদেশে ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৬৫৬ জন করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন।
বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড দেওয়া হচ্ছে। টিকার সঙ্কট থাকায় ২৫ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজ টিকাদান বন্ধ রয়েছে।
৮ এপ্রিল শুরু হওয়ার পর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৮ লাখ ২১ হাজার ২৪ জন করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি