মামুনুলের বোনের বাসায় আটকে রাখা হয়েছিলো তার `দ্বিতীয় স্ত্রী`কে
হেফাজত নেতা মামুনুল হকের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণাকে মামুনুল হকের বোন দিলরুবার বাসা থেকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জানান, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকার একটি বাসা থেকে ঝর্ণাকে উদ্ধার করা হয়। পরে বিকালে তাকে তার বাবার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় ঝর্ণাকে আটকে রাখা হয়েছে। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। ওই বাসাটি মামুনুল হকের বোন দিলরুবার বাসা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হওয়ার পর মামুনুল হক তাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন। তবে এ সংক্রান্ত কোনও কাবিননামা দেখাতে পারেননি তিনি। মামুনুল হকের দাবি শরিয়তের বিধি মোতাবেক তিনি ঝর্ণা নামের ওই নারীকে বিয়ে করেছিলেন। তবে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা, সম্পত্তির অধিকার এবং সন্তান ধারণ না করার শর্তে বিয়ে করেছিলেন বলে তিনি দাবি করেছিলেন।
গত ১১ এপ্রিল জান্নাত আরা ঝর্ণার বড় ছেলে আব্দুর রহমান জামি মাকে খুঁজে পাওয়ার আবেদন জানিয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। একইসাথে গতকাল সোমবার ঝর্ণার বাবা মেয়েকে উদ্ধারের জন্য কলাবাগান থানায় আরেকটি সাধারণ ডায়েরি করেন। জিডিতে ঝর্ণার বাবা উল্লেখ করেন, মামুনুল হকের অপকৌশলে ঝর্ণার সুখের প্রথম সংসার ভেঙে যায়। একপর্যায়ে জীবনের তাগিদে কাজের সন্ধানে ঝর্ণা ঢাকায় চলে আসে।
গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রিসোর্টকাণ্ডের পর তিনি জানতে পারেন, ঝর্ণাকে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করেন মামুনুল হক। ওই ঘটনার পর তিনি মেয়ের ঢাকার ঠিকানায় হাজির হয়ে তাকে খুঁজে পাননি। মামুনুল হকের লোকজন যেকোনো মুহূর্তে ঝর্ণাকে হত্যার পর লাশ গুম করতে পারে বলে সন্দেহ করে তাকে জরুরিভাবে উদ্ধারের কথা বলেন ওলিয়ার রহমান। এরপরই গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল জান্নাত আরা ঝর্ণার অবস্থান জানার চেষ্টা করেন।
হেফাজতের বহুল আলোচিত নেতা মামুনুল হককে ১৮ এপ্রিল ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ১৮ মামলা রয়েছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস