বৈধ পথেও ব্রাহমা গরু আনতে মোটা অংকের ঘুষ দেন খামারিরা!
বৈধ পথে ব্রাহমা জাতের গরু আমদানিতে মোটা অংকের ঘুষ দিতে হচ্ছে খামারিদের। আর এর নেপথ্যে খোদ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তা। কর্তৃপক্ষ বলছে, জড়িত অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংশোধন করা হচ্ছে আইন।
গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩০টি ব্রামা জাতের গরু আমদানি করে ডেইরী সান নামের একটি খামার। কাগজপত্রে বলা হয়, হলস্ট্রেন ফ্রিজিয়ান জাতের গরু আমদানি করা হচ্ছে। তবে এসব গরু আটকে দেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বলা হয়, এগুলো ব্রাহমা জাতের গরু যা আমদানির অনুমতি নেই।
তবে গত দুই বছরে পাঁচটি চালানে দুই শতাধিক ব্রাহমা গরু দেশে ঢুকেছে একইভাবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই গরুগুলো কেনো আটকে দেয়া হলো।
আমদানিকারক বলছেন, প্রতিটি গরুতে ১ লাখ করে মোট ৩০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে এয়ারপোর্ট কোয়ারিন্টিনের দায়িত্বে থাকা ওমর ফারুক। পরে ঘুষ না দিয়ে উচ্চ আদালতে গিয়ে গরুগুলো ছাড়িয়ে নেন এই খামারি।
অন্য খামারীদের ক্ষোভও একই রকম। তারা বলছেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বেশকিছু অসাধু কর্মকর্তা টাকার বিনিময়ে বিদেশি জাতের গরু দেশে ঢুকতে দেয় আর টাকা না দিলেই বাধে জটিলতা। এসব অভিযোগের তীর যে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে, তার সাথে যোগাযোগ করা হলে, মেলেনি কোনো সদোত্তর।
এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, কিছু অভিযোগ তাদের কাছেও এসেছে। মহাপরিচালক আরও জানান, নতুন আইনে কিছু সংশোধনী আসছে যা খামারীদের ব্যবসার জটিলতা কমাবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস