স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে
করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারঘোষিত সাত দিনের কঠোর লকডাউনের মধ্যেও শিল্পকারখানা চালু থাকবে। তবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। গত বছর একইভাবে কারখানা চালু থাকলেও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার তথ্য বলছে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। তদারকিতেও ছিল ঘাটতি।
তবে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এবার কারখানার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ কাজ ও চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর সোমবার এ বিষয়ে আদেশ জারি করা হয়। এতে বলা হয়, শিল্পকারখানা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। তবে শ্রমিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা–নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। যদিও গতকালই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা জানান, লকডাউনে শিল্পকারখানা চালু থাকবে।
লকডাউনে শিল্পকারখানা চালু রাখতে কী ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, সেটি এখনো পরিষ্কার করেনি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই)। তবে গত বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় তারা একটি নির্দেশিকা দিয়েছিল। তখন কর্মক্ষেত্রে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে পেশাগত সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সেই নির্দেশনা মেনে কলকারখানা চালাতে বলেছিল ডিআইএফই।
এ বিষয়ে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি আরশাদ জামাল বলেন, ‘আজ সকালে আমাদের বোর্ড সভা হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানতে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধিসংক্রান্ত আমাদের গাইডলাইন ও ডিআইএফইর নির্দেশিকা কাছাকাছি। ফলে, গাইডলাইন নিয়ে সমস্যা নেই। কোনো কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে যদি দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেয়, তাহলে আমরা সেটিকে বন্ধ করে দেব। বিষয়টি তদারকি করতে মোবাইল টিম পুনর্গঠন করা হচ্ছে।’
অন্যদিকে, নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে আজকের মধ্যেই আমরা নতুন করে একটি নির্দেশনা সদস্যদের দেব। কারখানায় প্রবেশের সময় হাত ধোয়া, তাপমাত্রা মাপা, মুখে মাস্ক পরা ছাড়াও ভিড় এড়াতে বিভিন্ন বিভাগের শ্রমিকদের একেক সময় হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি মানছে কি না, সেটি আমরা তদারকি করব। কোনো কারখানা স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আমরা ওই কারখানা বন্ধ করে দেব। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।’