`শ্রমিকরা বাড়ির দিকে ছুটলে করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে`
লকডাউন অবস্থায় যদি কারখানা বন্ধ হয়, তাহলে গার্মেন্টস শ্রমিকরা বাড়ির দিকে ছুটবে। সেক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই যাবে বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইর নব-নির্বাচিত সভাপতি ও জায়ান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক হাসান।
একই সঙ্গে বলেন, সব গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ও ঈদের বোনাস দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।
সোমবার ‘কোভিড অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউঃ কীভাবে সামলাব?’ শীর্ষক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ওয়েবিনার সংলাপে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন বিজিএমইর নব-নির্বাচিত সভাপতি।
সংলাপে ফারুক হাসান বলেন, গত লকডাউনে এপ্রিল এবং মে মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস দেওয়া হয়েছিল। আমরা আশা করি, এবারও সেই প্রস্তুতি থাকবে সব কারখানার শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেওয়ার। তবে কারখানা চালু রেখে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেওয়া অব্যাহত রাখতে চাই। এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
আরও বলেন, লকডাইনে আমাদের কারখানা বন্ধ হলে শিপমেন্ট দিতে পারব না। ভারতসহ বিভিন্ন দেশে লকডাউনে কারখানা চালু রেখেছে। আমরা ব্যবসার স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধির প্রটোকল মানতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে বাধ্য করতে বিজিএমইএর ১০টি টিম আছে, যারা মনিটরিং করছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় পর্যায়ের মনিটরিং টিম রয়েছে।
৯০ শতাংশ কর্মী কারখানার আশেপাশে থাকে জানিয়ে ফারুক হাসান বলেন, তারা মোটামুটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে থাকেন কিংবা গার্মেন্টস কারখানাও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হয়। লকডাউন অবস্থায় যদি কারখানা বন্ধ হয়, তাহলে গার্মেন্টস শ্রমিকরা বাড়ির দিকে ছুটবে। সেক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই যাবে। গতবারের অভিজ্ঞতা তাই বলছে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এমএজেড/এএস