News Bangladesh

স্টাফ রিপোর্টার || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৮:৪২, ৮ এপ্রিল ২০২১
আপডেট: ১৯:২৭, ৮ এপ্রিল ২০২১

আগুন নিয়ে বেশি খেলা করবেন না: মামুনুল হক

আগুন নিয়ে বেশি খেলা করবেন না: মামুনুল হক

হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, এই যে একটি অবস্থা তৈরি করা হয়েছে, আশু যদি এ অবস্থার পরিবর্তন না ঘটে, তাহলে বাংলাদেশ অনিবার্যভাবেই একটি সংঘাতমূলক পরিস্থিতির দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে। কাজেই আমি সংশ্লিষ্ট মহলকে বলবো, আগুন নিয়ে বেশি খেলা করবেন না।

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) বিকালে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এই আগুন নিয়ে খেলার পরিণাম কারও জন্য শুভ পরিণতি ডেকে আনবে বলে মনে হয় না।’

মামুনুল হক বলেন,  ‘প্রশ্ন করতে পারেন, আপনার বিরুদ্ধে কেন  এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হলো। রাষ্ট্রযন্ত্র আদালত ও প্রশাসন এই যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এর মূল লক্ষ্য ইসলামের পক্ষে আমার কণ্ঠ রুদ্ধ করে দেওয়া। এর পরে হেফাজতে ইসলামের  দায়িত্বশীলদের গোপন রেকর্ড ফাঁসের যে ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে, এর মাধ্যমে অশুভ উদ্দেশ্য স্পষ্ট। তারা চাচ্ছে হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্বকে কলুষিত করতে। অন্তর্দ্বন্দ্ব ও কলহ তৈরি করতে। আস্থা ও দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি, হেফাজতে ইসলামের সংহতি দৃঢ়ভাবে অটুট থাকবে।পারস্পরিক এ ভেদাভেদ আমরা ভুলে যাবো। কেউ কোনও দোষ করে থাকলে সাংগাঠনিকভাবে তার সংশোধনের যথাথ ব্যবস্থা করা হবে। হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতৃত্ব রয়েছে, তারা যেকোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। যারা হেফাজতে ইসলামকে দুর্বল করার পাঁয়তারা করছেন এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমার সেই নৈতিক শক্তি রয়েছে, যার কারণে আমি উপস্থিত। চড়াও হতে আসা আমার প্রাণ কেড়ে নেওয়ার মতো। হত্যা করবার মতো ঔদ্ধত্য নিয়ে যে সন্ত্রাসী বাহিনী সেদিন রয়্যাল রিসোর্টে হামলা চালিয়েছিল, সেখানেও পিছ পা হইনি, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছিলাম। ব্যক্তিগতভাবে একা হওয়ায় অনেক সন্ত্রাসীকে মোকাবিলা করতে পারিনি। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, হুমকি-ধমকির মাধ্যমে আমার নৈতিক অবস্থাকে দুর্বল করা যাবে না।’

উল্লেখ্য, গত শনিবার (৩ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারী সঙ্গীসহ স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হক। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। মামুনুল হক ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী আমেনা তৈয়বা বলে জানায়। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে হেফাজতের নেতাকর্মীরা ওই রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর করে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর একে একে মামুনুল হকের ইস্যুতে একাধিক অডিও ফাঁস হয়। যেখানে মামুনুল হক ওই নারীকে শহীদুল ইসলামের সাবেক স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়