দেশে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তে নজিরবিহীন রেকর্ড

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে ৭ হাজার ২১৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। টানা তৃতীয় দিনের মত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৭ হাজারের অধিক।
মৃত্যু ও শনাক্তে এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যা। এর আগে গত বছরের ৩০ জুন করোনায় মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল ৬৪ জন।
যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৫২ জনে এবং মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৩৮৪ জনে।
মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১২১টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ৩৪টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব এবং ৮২টি র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাবসহ মোট ২৩৭টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৪ হাজার ৩৬০টি। ২৪ ঘন্টায় অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৪ হাজার ৩১১টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৮ লাখ ৪৭ হাজার ৯৩৫টি।
ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯৬৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮৩ জন।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ৬৬ জনের মধ্যে পুরষ ৩৯ জন ও নারী ২৭ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৪৩ জন এবং নারী ২ হাজার ৩৪১ জন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ৪১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।
মৃত ৫২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫৪ জন, চট্টগ্রামে ৪ জন, রাজশাহীতে ৩ জন, সিলেটে ১ জন এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগে দুইজন করে ৪ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ৬৪ জন ও বাড়িতে ২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫৯৭ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২১৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৮২৩ জন, আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯৪ হাজার ২৪২ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৩ হাজার ৫৮১ জন।