রাজধানীতে লকডাউনের বিরুদ্ধে রাস্তা অবরোধ করে মিছিল
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় লকডাউনবিরোধী মিছিল ও সমাবেশ করছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এ সময় তারা নিউমার্কেট সড়ক অবরোধ করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও সেখানে মিছিল সমাবেশ চলছে।
রোববার (৪ এপ্রিল) দুপুরের পর নিউমার্কেটের সামনে থেকে ব্যবসায়ীরা মিছিল বের করে।
এ সময় তারা দাবি জানান, অবিলম্বে লকডাউন প্রত্যাহার করতে হবে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা কোনো লকডাউন চাই না। এটাই আমাদের এক দফা দাবি।
এর আগে শনিবার (৩ এপ্রিল) রোজা ও ঈদ সামনে রেখে লকডাউনের এক সপ্তাহ ৪ ঘণ্টার জন্য দোকান খোলা রাখার দাবি জানায় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
দোকান মালিক সমিতি জানায়, সুরক্ষা নিশ্চিতে সরকারের নির্দেশনার আলোকেই মার্কেট তদারকি করছেন তারা। তবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেকেই সামাজিক দূরত্ব মানতে এখনো উদাসীন।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে আগামী এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। রোববার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সোমবার (৫ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে থেকে আগামী রোববার (১১ এপ্রিল) রাত ১২টা পর্যন্ত জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। লকডাউনের মধ্যে আওতামুক্ত থাকবে যে বিষয়গুলো-
১. পণ্যপরিবহন, উৎপাদনব্যবস্থা, জরুরি সেবাদান, বিদেশগামী/বিদেশ প্রত্যাগত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।
২. আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস-জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
৩. সকল সরকারি/আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবলকে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যস্থাপনায় অফিসে আনা-নেওয়া করতে পারবে। শিল্পকারখানা ও নির্মাণ কার্যাদি চালু থাকবে। শিল্পকারখানার শ্রমিকদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া করতে হবে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ কর্তৃক শিল্পকারখানা এলাকায় নিকটবর্তী সুবিধাজনক স্থানে তাদের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল/চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফনকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
৫. খাবারের দোকান ও হোটেল (কেবল খাদ্য বিক্রয় সরবরাহ) করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাদ্য গ্রহণ করা যাবে না।
৬. শপিংমলসহ অন্যান্য দোকানসমূহ বন্ধ থাকবে। তবে পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইন এর মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই কর্মচারীদের মধ্যে আবশ্যিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং কোনো ক্রেতা সশরীরে যেতে পারবে না।
৭. কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে।
৮. ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু রাখা হবে।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি