News Bangladesh

স্টাফ রিপোর্টার || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৩:০২, ৪ এপ্রিল ২০২১
আপডেট: ১৪:৪১, ৪ এপ্রিল ২০২১

সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। 

রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

৫ এপ্রিল (সোমবার) ভোর ৬টা ১১ এপ্রিল (রোববার) রাত ১২টা পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে। 

প্রজ্ঞাপনে সব ধরনের গণপরিবহন, অফিস-আদালত, মার্কেট-দোকান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। 

এতে বলা হয়, সকল প্রকার গণপরিবহণ(সড়ক, নৌ, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহণ, উৎপাদন ব্যবস্থা, জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না। 

আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর, সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।

সকল সরকারি/আধা সরকারি/স্বায়ত্বশাসিত অফিস ও আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবলকে নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা-নেয়া করতে পারবে। 

শিল্প কারখানা ও নির্মাণ কার্যাদি চালু থাকবে। শিল্প কারখানার শ্রমিকদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থাপনায় আনা-নেয়া করতে হবে।

বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ কর্তৃক শিল্প-কারখানা এলাকায় নিকটবর্তী সুবিধাজনক স্থানে তাদের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল/চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।

খাবারের দোকান ও হোটেল রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয় সরবরাহ (টেকওয়ে/অনলাইন) করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে না।

শপিংমলসহ অন্যান্য দোকানসমূহ বন্ধ থাকবে। তবে দোকানসমূহ পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বাবস্থায় কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং কোনো ক্রেতা সশরীরে যেতে পারবে না।

কাচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে। 

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ঢাকায় সুবিধাজনক স্থানে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সারা দেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।

এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ২৯ মার্চ সরকারের পক্ষ থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। এর আলোকেই রোববার এ আদেশ জারি করা হয় বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

দেশে সর্বশেষ শনিবার করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ জনের মৃত্যু এবং ৫ হাজার ৬৮৩ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্তের কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। 

মহামারীতে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে নয় হাজার ২১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ছয় লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ জনে।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী সনাক্ত হওয়ার পর থেকে দেখা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে ৮৭ দশমিক ২৩ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়েছেন এবং ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ রোগী মারা গেছেন।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়