News Bangladesh

স্টাফ রিপোর্টার || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১১:৫০, ৪ এপ্রিল ২০২১

কোভিড-১৯: দেশেই টিকা তৈরিতে উদ্যোগী সরকার

কোভিড-১৯: দেশেই টিকা তৈরিতে উদ্যোগী সরকার

নতুন করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশে তৈরির আগ্রহের কথা জানিয়ে কাঁচামাল সরবরাহের জন্য টিকা উদ্ভাবক একাধিক বিদেশি কোম্পানিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

দেশে ব্যবহৃত টিকা ‘কোভিশিল্ডের’ উদ্ভাবক অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে সরকার এবং অন্য টিকার উদ্ভাবকদের কাছে ওষুধ শিল্প উদ্যোক্তারা কাঁচামালের জন্য চিঠি দিয়েছে।

তবে শুধু কাঁচামাল পেলেই এই টিকা তৈরি সম্ভব হবে না।  এর জন্য বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরীক্ষাগারকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মান অনুযায়ী হতে হবে।  সেজন্যও ডব্লিউএইচওর সহায়তা চেয়েছে সরকার।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, গত সপ্তাহে সরকারের পক্ষ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে ‘চিঠি’ পাঠানো হয়েছে।

সরকার গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে।  শনিবার পর্যন্ত ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৬৩৪ জনকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়ে গেছে।  নিবন্ধন করেছেন ৬৮ লাখ ৮৪ হাজার ৮২৮ জন।

আগামী ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে।  তবে সময়মতো টিকার চালান না আসায় টিকাদান কার্যক্রম চলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের একাধিক ওষুধ কোম্পানির টিকা উৎপাদনের সক্ষমতাকে সরকার কাজে লাগাতে চায়।  এজন্য টিকার কাঁচামাল সিড বা বাল্কের ব্যবস্থা করে দিতে উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠানকে সরকার অনুরোধ করেছে।

“আমরা ইতিমধ্যে চিঠি লিখেছি অ্যাস্ট্রেজেনেকার কাছে, যে আমাদের কাঁচামাল দাও।  আমাদের টিকা তৈরির ফ্যাসিলিটি আছে।  এখানে আমরা নিজেরা তৈরি করে ব্যবহার করতে পারব এবং চাইলে বিদেশেও রপ্তানি করতে পারব।  তাদের যেখানে ডিমান্ড আছে বা যেখানে দিতে বলবে, সেখানেও আমরা দিতে পারব।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে ওষুধের মান পরীক্ষার জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের গবেষণাগারের একটি অংশ গত বছরের মার্চ মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে।  আরেকটি অংশের কিছু কাজ বাকি আছে।

এ বিষয়ে সহযোগিতার পর অনুমোদনের অনুরোধ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ট্কিার যদি অ্যাপ্রুভাল পেতে হয় বা বিদেশে পাঠাতে হয় তাহলে ডব্লিউএইচওর অনুমোদিত ল্যাবে টিকা অনুমোদিত হবে।  এ কারণে এই ল্যাবেরও অনুমোদন লাগবে।

“ল্যাবের কেমিক্যাল অংশটা অনুমোদন পেয়েছে।  তবে বায়োলজিক্যাল অংশটির কিছু কাজ বাকি আছে।  আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে বলেছি, এটা তোমরাই করে দাও।”

এখন পর্যন্ত ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা ডব্লিউএইচওর অনুমোদন পেয়েছে।

ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুকতাদির শনিবার বলেন, “টিকার সিড এবং বাল্ক রয়েছে এই চারটা কোম্পানির কাছে। সিড থেকে টিকা তৈরির সক্ষমতা আমাদের আছে।  আমরা দুয়েকজনের কাছে চিঠি দিয়েছি।  কিন্তু কেউ জবাব দিচ্ছে না।”

শুরুতে গুটিকতক কারখানা দিয়ে টিকার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যাপ্ত টিকা তৈরি সম্ভব বলে ভাবলেও পৃথিবীজুড়ে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় টিকার চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ‘নতুন প্রস্তুতকারকদের’ তারা সুযোগ দেবে বলে আশাবাদী ওষুধ খাতের অন্যতম এই উদ্যোক্তা।

নিউজবাংলাদেশ.কম/ডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়