সর্দিকাশিতে অ্যান্টিবায়োটিক নয় ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে
সর্দি কাশির চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের ওপর নির্ভরতা থেকে সরে দাঁড়াতে শুরু করেছেন চিকিৎসকরা। খুঁজছেন প্রাকৃতিক সমাধান।
সর্দি কাশি হলেই এখন আর ঘড়ির কাঁটা গুনে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া জরুরি নয়। ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার খেলে জ্বর, সর্দি ও কাশির সঙ্গে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমবে।
চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের এই পরামর্শ অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের সমস্যা মোকাবিলায় সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কেননা অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের প্রয়োগের ফলে মানুষের শরীর ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে পড়ে। ফলে অনেক ধরণের ইনফেকশন সারিয়ে তোলা কঠিন হয়ে যায়।
জেনে নেওয়া যাক কী সেই খাবারগুলো-
১. সবজির মধ্যে পালং শাক, বাঁধাকপি, ব্রকলি এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এগুলোতে ভিটামিন এ, সি ও ই থাকে যেগুলো রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এ কারণে ফ্লু থেকে বাঁচতে এই সবজিগুলো নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে।
২. রসুন রান্নার খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপকরন। প্রাচীন কাল থেকেই এই উপাদানটি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। নিয়মিত কাঁচা রসুন খেতে পারলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে। সেই সঙ্গে এটি যেকোন ধরনের ফ্লু প্রতিরোধ করবে।
৩. দই, লাচ্ছি –এগুলো একদিকে যেমন হজমশক্তি বাড়ায়, তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। সর্দি-কাশি দূর করতে এই জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। এতে প্রদাহ ও সংক্রমনের সম্ভাবনা কমে যাবে।
৪. রসুনের মতো কাঁচা আদাও বড্ড কার্যকরী। এটি শরীরে উষ্ণতা তৈরি করবে। সেই সঙ্গে সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করতে ভূমিকা রাখবে।
৫. সর্দি-কাশি দূর করতে সাইট্রাস জাতীয় ফল বেশ উপকারী। বিশেষ করে লেবু, কমলা, টমেটো, আনারস, গোল মরিচে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এসব ফলে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারী।
৬. নিয়মিত মধু গরম পানির মিশ্রণও সর্দিকাশিতে যথেষ্ট কার্যকর।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএস