করোনাকালে শিশুর মন ভালো রাখতে ৬ টিপস
বাবা ব্যস্ত পরিবারে অর্থের জোগানটা ঠিক রাখার কাজে। মা গৃহবধূ হলে একরকম, না হলে কাজ সামলে তিনিও খুব একটা সময় দিতে পারছেন না সন্তানকে। সব মিলিয়ে, করোনাকালীন পরিস্থিতি ঘরে-বাইরে তৈরি করেছে এক অসহনীয় পরিবেশ। আর তার শিকার বেশি হচ্ছে শিশু। বাড়ি বসে বসে তারা অস্থির হয়ে উঠছে। মনে কাজ করছে চাপা উদ্বেগও- আর কোনও দিনই যদি বন্ধুদের সঙ্গে দেখা না হয়! এ হেন পরিস্থিতিতে কীভাবে তাদের মন ভালো রাখা যায়, সেই টিপস দিচ্ছেন মলন্দের ফর্টিস হাসপাতালের শিশু-বিশেষজ্ঞ জেসল শেঠ।
বাচ্চাদের অস্থিরতার কারণ শনাক্ত করা
এটা একেবারে প্রথম ধাপ, বুঝতে হবে কেন সন্তান অস্থির হয়ে পড়ছে। সেটা বুঝে গেলেই পরিস্থিতি আয়ত্তে আসবে। তখন তার প্রতিকারের উপায় ভাবতে হবে, সেটা নিয়ে কথা বলতে হবে সন্তানের সঙ্গে। তার মতো করে সমাধান বের করতে পারলেই সে শান্ত থাকবে।
দাদা-দাদির সঙ্গে সময় কাটাতে দেয়া
অনেক বাচ্চাদেরই পড়াশোনার ক্ষতি হবে ভেবে বা তারা বয়স্কদের বিরক্ত করছে ভেবে দাদা-দাদির কাছ থেকে সরিয়ে রাখা হয়। কিন্তু তা না করে যতটা সম্ভব তাদের বয়স্কদের সঙ্গে থাকতে দেয়া উচিত। তাতে তাদের মন ভালো থাকবে।
সময় কাটানোর রুটিন তৈরি করা
যত কাজের চাপ থাকুক না কেন, বাচ্চাকে সময় দিতেই হবে। শুধু তার যত্ন নয়, তার সঙ্গে একটা রুটিন তৈরি করে শরীরচর্চা বা এরকম কিছু কাজ করা উচিত। তাতে তার সময়টা একঘেয়ে কাটবে না, বাড়িতে থাকতে তাদের ভালো লাগবে।
সন্তানের সঙ্গে খেলা করা
বাচ্চাদের অবসর বিনোদনের প্রধান অঙ্গ-ই হলো খেলা! এক্ষেত্রে তারা যখন বাইরে যেতে পারছে না, তখন দিনের কোনও একটা সময়ে তাদের সঙ্গে খেলায় যোগ দিতে হবে। এতে তাদের সঙ্গীর অভাব দূর হবে।
ভার্চুয়াল প্লে ডেট
অনলাইনে যখন পড়াশোনা চলছে, তখন আড্ডাই বা বাদ যায় কেন? স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে তাকে মাঝে মাঝে অনলাইনে গল্প করার, ইনডোর গেম খেলার সময়ও দিতে হবে। তাতে সে একটু নিজের মতো করে সময় কাটানোর অবসর পাবে আগের মতো!
বকা-ঝকা করলে চলবে না
শাসন করা জরুরি নিঃসন্দেহে বাচ্চাকে মানুষ করে তোলার ক্ষেত্রে! কিন্তু কথায় কথায় তাকে বকুনি দেয়াটা বন্ধ করতে হবে। তা না হলে তার মেজাজ সব সময়েই ক্ষিপ্ত হয়ে থাকবে। পরিণামে তার এবং বাড়ির বড়দের সময় সুখের হবে না।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ