দুর্নীতির মামলায় সুনামগঞ্জের সাবেক সিভিল সার্জন জেল হাজতে
সিলেট ব্যুরো: সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জনবল নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় সাবেক সিভিল সার্জন ডা. মো. হারিস উদ্দিন আহমেদকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোমবার সুনামগঞ্জের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. ইসরাইল হোসেন তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
সরকারি কোটা পদ্ধতি অনুসরণ না করেই ২০১০ সালের ৩ মার্চ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারী করে ১২০ কর্মচারীর নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এ নিয়ে গত বছরের ২২ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন সিলেটের সহকারী পরিচালক শেখ আব্দুস সালাম বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। সম্প্রতি মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্টদের দুর্নীতির কথা উল্লেখ করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, "প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, কোন প্রকার যাচাই-বাছাই না করে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে অনৈতিকভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
মামলায় তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. মো. হারিস উদ্দিন আহমেদসহ, সিলেট বিভাগের তৎকালীন স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. ইকবাল হোসেন, তৎকালীন সহকারী পরিচালক ডা. আব্দুল মুনিম চৌধুরী, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সহকারী
পরিচালক (অব.) মো. হালিম মিয়া, সুনামগঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুল আলম ও সিভিল সার্জন অফিসের সাবেক অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক অব. মো. আব্দুল খালেককে বিবাদী করা হয়।
তদন্ত শেষে দুর্নীতি দমন কমিশন গত ১৯ অক্টোবর বিবাদীদের অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
মামলার অন্য আসামীরা ডা. ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও ডা. আব্দুল মুনিম চৌধুরী সুনামগঞ্জের স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। সোমবার মামলার
অন্যতম আসামী তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. মো. হারিস উদ্দিন আহমেদকে আদালতে হাজির করে জামিন প্রার্থনা করলে শুনানী শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
শুনানীকালে বাদী পক্ষে পিপি অ্যাড. শফিকুল আলম এবং আসামী পক্ষে অ্যাড. জহুর আলী উপস্থিত ছিলেন।
নিউজবাংলাদেশ.কম/এএইচকে
নিউজবাংলাদেশ.কম