News Bangladesh

কক্সবাজার সংবাদদাতা || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:৩৫, ২ জানুয়ারি ২০২৫

সিনহা হত্যা মামলা দ্রুত শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে আবেদন

সিনহা হত্যা মামলা দ্রুত শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে আবেদন

ছবি: নিউজবাংলাদেশ

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলা হাই কোর্টে দ্রুত শুনানি করতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে আবেদন করেছেন তার মা নাসিমা আক্তার।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে এ বিষয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রায় কার্যকরের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আবেদন করে সিনহার পরিবার। এ সময় হত্যা মামলাটি দ্রুত শুনানির আশ্বাস দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আছাদুজ্জামান।

২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। এছাড়াও ৬ জনের যাবজ্জীবন এবং বাকিদের খালাস দিয়েছিলেন আদালত।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। হত্যাকাণ্ডের ৪ দিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করা হয়। 

এছাড়া প্রদীপ কুমার দাশকে ২ নম্বর ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিতকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়। পরে আদালত কক্সবাজারের র‍্যাব-১৫ কে মামলাটির তদন্তভার দেন। ওই ঘটনায় ৭ আগস্ট মামলার আসামি ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তদন্তে নেমে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় ৩ বাসিন্দা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ৩ সদস্য ও ওসি প্রদীপের দেহরক্ষীসহ আরও মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। 

২৪ জুন মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেবের আদালতে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আলোচিত এই মামলার ১৫ আসামির সবাই আইনের আওতায় আসে। এ মামলায় ৪ মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৮৩ জন সাক্ষীর নামের তালিকাসহ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‍্যাব-১৫ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ওই সময় ১৫ জনকে আসামি করে দেয়া অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়