News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৩:৩৯, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
আপডেট: ১৩:৫৪, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

জামিন নাকচ, চিন্ময় দাসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

জামিন নাকচ, চিন্ময় দাসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

আদলতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের সাবেক অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর (৩৮) জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন-৬ এর কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।

জানা গেছে, এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে, গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।

এর প্রতিবাদে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, খুলনা, দিনাজপুর, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে।

চিন্ময় দাশকে রাতেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

তাকে প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে আদালত তোলার সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন সেখানে।

চিন্ময় দাশকে এজলাসে হাজির করা হলে সমবেত আইনজীবীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে থাকেন। তখন চিন্ময় দাশ হাত জোড় করে আইনজীবীদের স্লোগান দিতে নিষেধ করেন।

জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান (পরবর্তীতে বহিষ্কৃত)। এ মামলায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার পর নগরের নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্টে স্তম্ভের ওপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে, যা এখনো সেখানে রয়েছে। ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে লালদীঘির মাঠে একটি মহাসমাবেশ হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো মানুষ ওই সমাবেশে যোগ দেন। ওইদিন চন্দন কুমার ধরসহ ৯ জন আসামির ইন্ধনে বাকি আসামিরা নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্ট স্তম্ভ ও আশপাশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ওপর ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করে সেখানে স্থাপন করে দেয়। এ নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এই মামলার পর ইসকন প্রবর্তক ধাম অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও বার্তায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা প্রসঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি মামলাটি সনাতনীদের আট দফা দাবি আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা হিসেবে আখ্যা দেন। ওই বিবৃতিতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বলেন, '৫ আগস্টের পর সনাতনীদের ওপর চালানো হামলা-নির্যাতনের প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলন। এই আন্দোলন বর্তমান সরকার কিংবা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়।'

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসবি/এনডি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়