News Bangladesh

নিউজ ডেস্ক  || নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৬:৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪

কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ, কারাগারে ডিআইজি সুব্রত কুমার

কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ, কারাগারে ডিআইজি সুব্রত কুমার

ডিআইজি সুব্রত কুমার হালদার। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগের কথা বলে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মাদারীপুর জেলার সাবেক এসপি ও বর্তমান ডিআইজি সুব্রত কুমার হালদারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নুর মোহাম্মদ আবু শাহরিয়ার কবির এই আদেশ দেন। এই পুলিশ কর্মকর্তা বর্তমানে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত ছিলেন।

জানা গেছে, সুব্রত কুমার হালদার ২০১৯ সালে মাদারীপুর পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকাকালে কনস্টেবল পদে নিয়োগে দুর্নীতির ঘটনা ঘটে। নিয়োগ প্রার্থীদের পরীক্ষার বিশেষ সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে এবং ১৭ প্রার্থীর কাছ থেকে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকা ঘুষ নেন।

দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম এই ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। বুধবার দুপুরে এই মামলা আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাকে জামিন না দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

গত বছরের ৫ জুলাই সুব্রত কুমার হালদারসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। তদন্ত শেষে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়।

দুদক সূত্র জানায়, সুব্রত কুমার হালদার বাদে অন্য আসামিরা হলেন- মাদারীপুর পুলিশ লাইন্সের বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন ও জাহিদুল ইসলাম, মাদারীপুর জেলা পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিক্যাল  অ্যাসিস্ট্যান্ট পিয়াস বালা ও মাদারীপুরের সাবেক টিএসআই (শহর উপপরিদর্শক) গোলাম রহমান।

দুদকের পিপি আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ডিআইজি সুব্রত হালাদারকে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। সুব্রত কুমার হালদার স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আমরা তার তীব্র আপত্তি জানাই। পরে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। সুব্রত কুমার বিরুদ্ধে দুদক স্পষ্টভাবে দুর্নীতি প্রমাণ পেয়েছে এবং অভিযোগপত্র দাখিলও করেছে। তিনি প্রকাশ্যে ঘুষ নিয়ে অপরাধ করেছেন। তাই রাষ্ট্র তৎপর হয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে। রাষ্ট্র ও দুদক ন্যায় বিচার পেয়েছে।

মাদারীপুর দুদকের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, তদন্তকালে জব্দ করা ৩২টি লিখিত পরীক্ষার খাতা ও আনুষঙ্গিক রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে অনিয়মের চিহ্ন এবং অতিমূল্যায়নের প্রমাণ পায়। তিনি যাদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন তাদের খাতায় সাংকেতিক চিহ্ন দেওয়া ছিল এবং এসব প্রার্থীদের খাতায় অতিরিক্ত নম্বর দেন। এসব অপরাধমূলক কাজের জন্য আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। 

তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম বলেন, অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছিল। সুব্রত কুমার হালদার বাদে অন্য আসামিরা হলেন মাদারীপুর পুলিশ লাইনসের বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল মো. নুরুজ্জামান সুমন ও জাহিদুল ইসলাম, মাদারীপুর জেলা পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট পিয়াস বালা ও মাদারীপুরের সাবেক টিএসআই (শহর উপ-পরিদর্শক) গোলাম রহমান। মামলায় নাম থাকা ছয় আসামির মধ্যে মাদারীপুর সদর থানার বাসিন্দা মো. হায়দার ফরাজিকে অভিযোগ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

দুদক তদন্তকালে জব্দ করা ৩২টি লিখিত পরীক্ষার খাতা ও আনুষঙ্গিক রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে অনিয়মের চিহ্ন এবং অতিমূল্যায়নের প্রমাণ পায়। দুদকের অনুসন্ধানে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মোট ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়।

নিউজবাংলাদেশ.কম/পলি 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়