আজ থেকেই ১৫ দিন গণনা: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমমুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে সর্বোচ্চ দণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াতের নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের পূর্ণাঙ্গ রায়ের প্রত্যায়িত অনুলিপি পাওয়া বা তাঁকে (কামারুজ্জামানের) জানানোর দিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই রিভিউ করতে হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, যেটি আগে হয়। যেহেতু কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয়েছে, সেহেতু তিনি তা জেনে গেছেন। তাই আজ থেকেই ১৫ দিন গণনা হবে। এই ১৫ দিনের মধ্যেই রিভিউর আবেদন করতে হবে।
আজ বুধবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মাহবুবে আলম এসব কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, রায় পুনর্বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রকে ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে, তা আপিল বিভাগের রায়ে বলা নেই। তবে রাষ্ট্র ইচ্ছা করলে ১৫ দিন অপেক্ষা করতে পারে, না–ও পারে। ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউর নোটিশ না দিলে কোনো পদক্ষেপ নিলে তা অবৈধ হবে না।
এর আগে কামারুজ্জামানের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিক সমিতির শফিউর রহমান মিলনায়তনে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ করা আমাদের আইনগত অধিকার। আপিল বিভাগ বলেছেন, পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ করা যাবে। তাহলে কীভাবে রিভিউর ১৫ দিন সময় অতিক্রম হওয়ার আগে ফাঁসি কার্যকর হবে?
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রায়ের প্রত্যায়িত অনুলিপি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আমরা রিভিউ করব। রিভিউ নিষ্পত্তি হওয়ার পর সিদ্ধান্ত হবে যে, কীভাবে দণ্ড কার্যকর হবে। মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকবে, না যাবজ্জীবন হবে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই রিভিউ আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আপিল বিভাগের রায় কার্যকর করা যাবে না।’
ইতিমধ্যেই রায়ের প্রত্যায়িত অনুলিপির জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে তাঁরা এখনও অনুলিপি পাননি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিভিউ করার পর আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি হবে। শুনানির পর তাঁর রায় হবে। রিভিউর রায়ের পর সে রায় কার্যকর হবে। তিনি আরও বলেন, রিভিউ নিষ্পত্তির পর কামারুজ্জামানকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন কি না। যদি তিনি ক্ষমা চাইতে রাজি হন, তাহলে রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত তা কার্যকর করা যাবে না।
মৃত্যু পরোয়ানা জারির বিষয়ে খন্দকার মাহবুব বলেন, প্রচলিত আইন অনুযায়ী মৃত্যু পরোয়ানা জারি করাটা ঠিক আছে। কিন্তু আইনের বরখেলাফ করে মৃত্যু পরোয়ানা কার্যকর করতে পারবে না।
এলএন/
নিউজবাংলাদেশ.কম