News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:৪৭, ৪ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১৯:৫২, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

খালেদাকে গ্রেপ্তারের আদেশ বহাল

খালেদাকে গ্রেপ্তারের আদেশ বহাল

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সংক্রান্ত দুটি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের আদেশ বহাল রেখেছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার গ্রেপ্তার আদেশ প্রত্যাহারের আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আগের আদেশই বহাল রাখেন।

এদিন সাক্ষীরা আদারতে উপস্থিত হলেও তাদের সাক্ষ্য নেয়া সম্ভব হয়নি। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৫ এপ্রিল পরবর্তী দিন ধার্য্য করেন আদালত।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় অনেকদিন ধরে আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার।

রাজধানীর বকশিবাজারে আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে মামলা দুটির বিচার কাজ চলছে।

আদালতে আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এজে মোহাম্মদ আলী। অ্যাডভোকেট সানাহউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তাকে সহায়তা করেন।

দুর্নীতির দুই মামলা
২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলাটিতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে তিনকোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়।

মামলার দায়ের ছয় মাস পর ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে অভিযুক্ত করার সুপারিশ করে আদালতে জার্জশিট দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

তাদের মধ্যে হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু হতেই পলাতক।

এর আগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়।

এতিমদের সহায়তার জন্য বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় এ মামলায়।

এ মামলায় ২০১০ সালের ৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

গতবছর ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ দুই মামলায় বিচার শুরু করে আদালত।

নিউজবাংলাদেশ.কম/ এফএ

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়