News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ১২ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ০৮:৩৪, ১৮ জানুয়ারি ২০২০

খালেদার আদালত বদলের রিট শুনানি এপ্রিলে

খালেদার আদালত বদলের রিট শুনানি এপ্রিলে

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আদালত পরিবর্তনের জন্য করা প্রথক দুটি আবেদনের শুনানি এপ্রিল মাসে হবে।

বৃহস্পতিবার রিট দুটি কার্যতালিকায় থাকলেও সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ আবেদন দুটি শোনেননি। আদালত এপ্রিলে সময় নির্ধারণ করেন। তবে কোনো দিন ধার্য্য করেননি।

এদিন বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চের কার্যতালিকায় ১৯ ও ২০ নম্বরে ছিল খালেদা জিয়ার দুটি রিট।

অবকাশকালীন ছুটি শেষে ১ বা ২ এপ্রিল শুনানির জন্য আবেদন দুটি কার্যতালিকায় আসবে বলে জানিয়েছেন আদালত।

এর আগে গত সপ্তাহে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদন দুটি শুনানির জন্য ১২ মার্চ তারিখ ধার্য করেছিলেন।

গত ২৮ জানুয়ারি খালেদা জিয়া তার মামলা দুটির আদালত পরিবর্তনের জন্য হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট আবেদন করেন। আবেদন দুটি ২ মার্চ আদালতে উপস্থাপন করা করা। ওই দিন আদালত বলেন, ৫ মার্চ আবেদন দুটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে। ইতিমধ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ওই দুই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ মার্চ আদালত পরিবর্তন চেয়ে করা ওই আবেদন দুটিতে খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত চেয়ে সম্পূরক আবেদন করা হয়।  

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এদের মধ্যে হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু হতেই পলাতক। খালেদাসহ বাকি দুই আসামি জামিনে রয়েছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় অন্য মামলাটি দায়ের করে। এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় এ মামলায়।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। তারেক রহমান উচ্চ আদালতের জামিনে গত ছয় বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন ছিলেন তবে বুধবার খালেদাসহ তাদের জামিনও বাতিল করে আদালত। বাকি দুজন পলাতক।

রাজধানীর বকশিবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে মামলা দুটির বিচার চলছে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এফএ

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়