News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১৭:০৬, ৭ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১৮:৩৯, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

নারী কিংবা পুরুষ কোনোটিই তিনি নন!

নারী কিংবা পুরুষ কোনোটিই তিনি নন!

ঢাকা: অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদনপত্র করতে গিয়ে একটু হকচকিয়ে যান সত্যশ্রী শর্মিলা। কেননা লিঙ্গ লেখার কলামে নারী না পুরুষ কী লিখবেন তিনি তা ঠিক করে উঠতে পারছিলেন না। এ ঘটনা গত বছর অক্টোবর মাসের। তার এ চতচকিত হওয়ার কারণ হলো, নারী কিংবা পুরুষ কোনোটিই তিনি নন।

দশ বছর ধরে সত্যশ্রী শর্মিলা ট্রান্সজেন্ডার। পাসপোর্টের আবেদনপত্রে  ট্রান্সজেন্ডারের কোনো অপশন নেই। সত্যশ্রী তার এ সমস্যার কথা জানিয়ে চিখি লিখলেন পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষকে।

কর্তৃপক্ষ তখন তাকে জানায়, যে কোনো একটা লিখে দিতে হবে। এর কোনো বিকল্প আপাতত তাদের হাতে নেই। তবে পরবর্তী সময়ে সে যে অপশন চাইবে তা নেয়ার সুযোগ তাকে দেয়া হবে।

২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে দেশে তৃতীয় লিঙ্গকে বৈধতা দেয় ভারতের শীর্ষ আদালত। ভোটার কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স সবরকম পরিচয়পত্র যাতে এ লিঙ্গের মানুষরা পেতে পারে এজন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
এ ঘটনার কিছুদিন পর পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করেন সত্যশ্রী। আর তখন দেখতে পান লিঙ্গ কলামে নারী-পুরুষের সঙ্গে ট্রান্সজেহুার অপশনও রয়েছে। এবছর ১৫ ফেব্রুয়ারি পাসপোর্ট হাতে পান সত্যশ্রী।

এ পাসপোর্টে তাকে ট্রান্সজেন্ডার হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রথম মহারাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি ট্রান্সজেন্ডার পাসপোর্ট পেলেন। হয়তো ভারতেও এই প্রথম।

ভিকরোলির বাসিন্দা আইনে স্নাতক সত্যশ্রী গণমাধ্যমকে জানান, তার জীবনের আনন্দময় মুহূর্তগুলির মধ্যে এটি একটি। ভারতের ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির জন্য কাজ করা দর্পণ ফাউন্ডেশনের পেহচান প্রকল্পে প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন তিনি। দর্পণের বোর্ড সদস্য তিনি।

তামিলনাড়ুর সরকারি কর্মকর্তার সন্তান সত্যশ্রী ছোটবেলা থেকেই জানতেন পরিবারের অন্য শিশুদের থেকে তিনি আলাদা। বয়ঃসন্ধিতে ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটি সম্পর্কে জানতে পারলেও যৌনব্যবসা বা ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে ঘৃণাবোধ করতেন তিনি।

নিউজ বাংলাদেশ.কম/এটিএস

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়