News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:৪৪, ৫ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১৮:৩৯, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

শেষ পর্যন্ত অসুস্থতাজনিত ছুটিতে কেজরিওয়াল

শেষ পর্যন্ত অসুস্থতাজনিত ছুটিতে কেজরিওয়াল

দিল্লির সদ্য গদিনশিন মুখ্যমন্ত্রী (সিএম) অরবিন্দ কেজরিওয়াল গত কয়েকদিন যাবত ডায়রিয়া আর সর্দিকাশিতে ভুগছিলেন। তবে এসব শারীরিক অসুস্থতা ছাড়িয়ে যে বিষয়টি তাকেসহ তার দল আম আদমি পার্টিকে (এএপি) বেশি পেরেশান করছিল তা হচ্ছে দলের ভেতরকার দলাদলি। তো শেষমেষ শারীরিক আর মানসিক চাপের কাছে হার মানলেন কেজরিবাল। সব ফেলেফুলে তিনি চলে গেছেন টানা দশদিনের অসুস্থতাজনিত ছূটিতে।

বৃস্পতিবার প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, অন্যান্য রাজনীতিকদের মতো স্বাস্থ্য ফেরানোর এই ছুটিতে থাকাকালীন কোনো ধরনের চলাফেরা বা ঘোরাঘুরি করবেন না তিনি। স্রেফ সর্দি আর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ব্যয় করবেন সময়টা।

তবে ভারতীয় রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই কায়দায় কেজরিওয়াল কলা বেচার সঙ্গে সঙ্গে রথ দেখার কাজটাও সেরে নিতে চাইছেন আসলে। দল ও রাজ্য পরিচালনার কাজ থেকে তার এই আকস্মিক অনুপস্থিতি আম আদমির ভেতর চলমান অন্তর্দ্বন্দ্ব আর এসব বিষয়ে মিডিয়ার শকুনদৃষ্টি এড়াতে বেশ কাজে দেবে।

জানা গেছে, ছুটিটা কেজরিওয়াল বেঙ্গালুরুতে কাটাবেন। এসময়টায় সরকারের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সামলাবেন ডেপুটি সিএম মনিস সিসোদিয়া। অপরদিকে, কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, দলে চলমান কোন্দলের মতোই ডায়াবেটিস আর কাশি--  দুটোর কোনওটাই মুখ্যমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে আসছে না। তাই তিনি ব্যাঙ্গালুরু গিয়েছেন নেচারোপ্যাথির শরণ নিতে। নেচারোপ্যাথি হচ্ছে প্রচলিত ওষুধ-পথ্যের বাইরে শুধু প্রাকৃতিক পরিবেশ আর আচার অনুসরণের মাধ্যমে রোগ চিকিৎসার কায়দা। ব্যাঙ্গালুরুর ওই প্রতিষ্ঠানে এর আগেও চিকিৎসা নিয়েছেন কেজরিবাল। সেবার ২০১২ সালে সাবেক গুরু আন্না হাজারের সঙ্গে অনশন শেষে গুরুতর অসুস্থ হয়ে সেখানে চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি।

সেখানকার চিকিৎসায় কেজরিওয়লের সারা শরীরে একধরনের ঠাণ্ডা কাদামাটির প্রলেপ দেয়াসহ তাকে দলবদ্ধভাবে হাসির যোগব্যায়াম অনুশীলন করানো হেব। এছাড়াও রয়েছে মাথায় বিশেষ কায়দায় তেলমালিশ পর্ব। একইসঙ্গে তার পানাহারেও বিশেষ নিয়ম ও উপাদান যোগ করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের ঠিক আগ মুহূর্তে এএপি’র আহ্বায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

বিরাট জয় নিয়ে দিল্লি বিধানসভার ক্ষমতায় আসার এক মাসের মধ্যেই এএপিতে গৃহবিবাদ দেখা দেয়। দলের দুই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রবীন্দ্র যাদব ও প্রশান্ত ভূষণ এএপি প্রধান কেজরিওয়ালকে দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিলেন বলে অভিযোগে জানা যায়। সূত্র: নবভারত টাইমস, টাইমস অব ইন্ডিয়া

নিউজবাংলাদেশ.কম/একে
 
   

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়