News Bangladesh

|| নিউজবাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ২৮ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ০৭:২৪, ২ আগস্ট ২০২০

গো-মাংস নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মাংস ভক্ষণ উৎসব

গো-মাংস নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মাংস ভক্ষণ উৎসব

মহারাষ্ট্র্রে গো-মাংস কেনা-বেচা নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে কলকাতায় মাংস ভক্ষণ উৎসবের ডাক দেয়া হয়েছে। গরুর মাংস কেনা-বেচা নিষিদ্ধের প্রতিবাদে খাদ্যরুচির অধিকার রক্ষায় এই আয়োজনে পছন্দমতো মাংস দিয়ে আহার সারবেন অংশগ্রহণকারীরা।

আগামী সপ্তাহে কলকাতার মুসলিম ইনস্টিটিউট ভাড়া করে এই মাংস ভক্ষণ উৎসব পালন করা হবে বলে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে। আয়োজকরা জানান, গরু ছাড়াও উৎসবের মেনুতে পাঁঠা ও মুরগির মাংসও থাকবে। ফলে যে যার খাদ্যরুচি অনুযায়ী আহার সারতে পারবেন। তবে উৎসবে অংশ নিতে কুপন কাটতে হবে বলে জানিয়েছেন উৎসবের কার্যকরী আহ্বায়ক সি পি এম নেতা কাম্তি গাঙ্গুলী।

রকমারি মাংস খাওয়ার অভিনব এই উৎসবের আহ্বায়ক লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র ও সি পি এম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য ও পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ ফৈয়াজ আহমদ খানসহ বাম মনোভাবাপন্ন অনেকে।

গরিব মুসলমান-সহ বহু দরিত্র হিন্দুও সস্তায় প্রোটিন হিসেবে গরুর মাংস খেয়ে থাকেন উল্লেখ করে সি পি এম নেতা কাম্তি গাঙ্গুলি জানান, এদেশে উচ্চশিক্ষিত বহু হিন্দু পাঁচতারা হোটেলে গিয়ে গো-মাংস খেয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মসংস্কারক রাজা রামমোহন রায় প্রাচীন হিন্দুদের গো-মাংসে অধিকার নামে বই লিখেছেন। পরে গুরুর সংখ্যা কমে যাওয়ায় গরু নিয়ে রাজায় রাজায় যেন যুদ্ধ না বাঁধে, সেজন্য গো-মাংস না খেতে তৎকালীন সমাজপতিরা নিদান দেন।

ধর্মের সঙ্গে গো-মাংস খাওয়া না খাওয়ার কোন সম্পর্ক নেই বলে দাবি করে কাম্তি গাঙ্গুলি বলেন, যদি কেউ একে ধর্মের বিধান বলে মানতে চান, তার গো-মাংস না খাওয়ারও অধিকার আছে।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীদের মুসলিম ভোট কমে যাওয়ার ফলে এই খাদ্য উৎসবের আয়োজনের পেছনে সিপিএমের ভোটের রাজনীতি জড়িত বলে মনে করছেন অনেকে।

নিউজবাংলাদেশ.কম/এসজে

নিউজবাংলাদেশ.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়