গণশক্তিকে বিজ্ঞাপন দিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ
পশ্চিমবঙ্গের সিপিআই-এম মালিকানাধীন দৈনিক গণশক্তিকে বিজ্ঞাপন দিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। এই আদেশের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করবে কিনা তা জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতা এসে ওই বছরের ২০ মে থেকে গণশক্তি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালে বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্ত হয় গণশক্তি কর্তৃপক্ষ। আদালতে গণশক্তি কর্তৃপক্ষের আবেদনটি অপেক্ষমান থাকা অবস্থায় ২০১৩ সালের ১২ জুলাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার গণশক্তিতে একেবারেই বিজ্ঞাপন দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার গণশক্তিতে বিজ্ঞাপন না দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে জানায়, পত্রিকাটি মার্কসপন্থি কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (সিপিআই-এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত ও প্রচারিত। এতে বিজ্ঞাপন দেওয়ার অর্থ হলো- রাজনৈতিক দলকে সরকারের অর্থ যোগান দেওয়া।
আদালতে পত্রিকাটির আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি দেবাংশু বসাক দৈনিক গণশক্তিকে বিজ্ঞাপন দিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়ে নোটিশ দেন। পরে, গত ২০ মার্চ (শুক্রবার) আদালতের নোটিশ গণশক্তির কার্যালয়ে পৌঁছায় বলে পত্রিকা কর্তৃপক্ষ জানায়।
শুনানিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবী অভ্রতোষ মজুমদার দাবি করেন, গণশক্তির কাছে বিজ্ঞাপনের দর জানতে চাওয়া হলেও কোন ‘সুস্পষ্ট’ উত্তর পাওয়া যায় নি।
গণশক্তির আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে বলেন, পত্রিকাটি ইন্ডিয়ান নিউজ পেপার সোসাইটি (আইএনএস) অনুমোদিত এবং সেন্টার‘স ডিরেক্টরেট অব অ্যাডভার্টাইজিং অ্যান্ড ভিজুয়াল পাবলিসিটি (ডিএভিপি) কর্তৃক স্বীকৃত।
অন্য রাজ্য সরকার এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারও গণশক্তিতে বিজ্ঞাপন দেয় উল্লেখ করে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন বলেন, রাজ্য সরকারকেও ডিএভিপির বিধান মানতে হবে এবং এতে বিজ্ঞাপন দিতে হবে।
তিনি বলেন, কোনো পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার মানে তার মালিককে অর্থ যোগান দেওয়া নয়।
শুনানি শেষে গণশক্তিকে বিজ্ঞাপন দিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি বলেন, "গণশক্তি রেজিস্ট্রার্ড একটি দৈনিক পত্রিকা। খবরের কাগজের হিসেবেই ও সার্কুলেশনের মাপকাঠিতেই তাকে বিজ্ঞাপন দিতে হবে।"
নিউজবাংলাদেশ.কম/এসজে
নিউজবাংলাদেশ.কম